উজ্জ্বল অধিকারী, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ) প্রকল্পের অধীনে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামে আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে সফলতার গল্প শেয়ারিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ও সুইডেন সরকারের আর্থিক সহায়তায় এবং ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “গ্রামীন নারীর মর্যাদাপূর্ন জীবন গড়ি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করি”।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আমবাড়িয়া এলাকায় কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্বলিত প্লে-কার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার হাতে অবস্থান করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোছা: আক্তারি বেগম, প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন আকতার, ফিল্ড ফেসিলেটর মোছা: রাজিয়া সুলতানা ও মোছা: আকলিমা খাতুন, সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে (সিআরইএ) প্রকল্পের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ক্লাইমেট একশন গ্রুপের সভাপতি আব্দুর রশিদ ভূইয়া, এনডিপির ইয়ুর্থ দলের সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা ও গ্রাম পর্যায়ের বিভিন্ন দলের সদস্য, নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। বক্তারা দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তারা বলেন, একজন গ্রামীণ নারী পিছিয়ে পরার ক্ষেত্রে তাদের বাবা-মায়েরও অনেক দায়ভার রয়েছে। যেমন আমার নানা-নানী দুজনেই আক্ষরিক শিক্ষায় শিক্ষিত হননি বা হওয়ার সুযোগ পাননি। সেদিক থেকে তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে তারা ছিলেন উদাসীন। যার ফলাফল স্বরূপ আমার মা এতো বেশি জ্ঞান চর্চা করতে পারেননি। অন্যদিকে শহরের মানুষ জ্ঞান চর্চার বিষয়ে গ্রামের মানুষের চেয়ে বেশি সচেতন বিধায় তারা সন্তানদের শিক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। এতে করেই শহরের নারীরা তাদের অধিকার সমন্ধে সচেতন হন এবং এগিয়ে যান। ঠিক এভাবেই গ্রামীণ নারীরা পিছিয়ে যায় শহরের নারীদের তুলনায়।
যদিও এখন সময় পাল্টেছে। গ্রামীণ নারীরাও তাদের অধিকারের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া শুরু করেছেন। তবে সেটা শহরের নারীদের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। তাই আমার পর্যবেক্ষণ বলে, গ্রামীণ নারীদের যেদিন মৌলিক অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত হবে সেদিন থেকে গ্রামীণ নারীরাও শহরের নারীদের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাবে। এতে করে একদিকে যেমন দেশে নারীর ক্ষমতায়ন হবে ঠিক তেমনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবেন একজন অধিকার সচেতন মা। আর এভাবেই একদিন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমান ভূমিকা পালন করবে এদেশের নারীরা।
বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সম্ভাব্য উপায় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোরালো দাবী জানান।