স্টাফ রিপোর্টার :
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচিতে বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের সস্ত্রাসী হামলায় ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ বেলকুচি থানা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদী মোঃ আবু সামা প্রামানিক ও আসামীদের বাড়ি একই গ্রামে পাশাপাশি অবস্থিত। তাদের সকলের বাড়ি বেলকুচি থানাস্থ আজুগড়া জামতৈল গ্রামে। বাদী মোঃ সামা প্রামানিক ও তার ভাইগণ একই বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। তাদের বাড়ীর পশ্চিম পাশে^ লাগানো আসামীদের বাড়ি। আসামীগণ মাঝে মধ্যেই সামা প্রামানিকসহ তার ভাইদের সহিত জায়গার সীমানা নিয়ে অযথা বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব থাকা অবস্থায় আসামীদের বাড়ীর সীমানা সংলগ্ন ভুক্তভোগী শাহ আলম ও তার ভাইয়ের গুর্মুখী মৌজার আর, এস খংনং- ১৪৩ এর ৮৯৮নং দাগে
.১৬ শতক জায়গার পশ্চিম পাশের্^ লাগানো কয়েকটি কলার চারা ঘটনার দুই দিন আগে জোরপূর্বক কেটে ফেলে। এ নিয়ে আসামীদের সহিত বাদী ও বাদীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ দিন আসামীগণ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। অত:পর গত ১৬ই এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখে বাদী আবু সামা প্রামানিক-এর ভাই ভুক্তভোগী শাহ আলম আত্মীয়ের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ী ফেরার পথে আসামীদের বাড়ীর সামনে গেট সংলগ্ন রাস্তার উপর তাকে একা পেয়ে আসামীরা ধারালো চাকু, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর আকস্মিক ভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলার সময় বাদী মোঃ আবু সামা প্রামানিক বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে দেখতে পেয়ে অন্য ভাইকে ডাক দিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে যেতেই আসামী নুর আলম ও জালাল উদ্দিন ধারালো চাকু দিয়ে শাহ আলমের মাথায় ও চোখ বরাবর কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করে। তাকে রক্ষার জন্য বাদীপক্ষ আবু সামা প্রামানিক ও শহিদুল ইসলাম এগিয়ে গেলে আসামী জমশের আলী, ইব্রাহিম, হাকিম, মনিসহ অন্যরা মিলে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি মারপিট, আঘাত, জখম করতে থাকে। আসামীদের উপর্যুপুরি মারপিটে শাহ আলম সজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকার লোজকন (সাক্ষীরা) এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। আসামীদের সন্ত্রাসী হামলায় শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এসময় তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সেদিন বেলকুচি থানায় মামলা করতে গিয়ে আসামীরাসহ তাদের সন্ত্রাসীদের বাঁধার মুখে মামলা না করে বাড়ি ফিরে আসে। পরে বেলকুচি থানা আমলী আদালতে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী আবু সামা প্রামানিক।
মামলার আসামীরা হলো: হোসেন আলী প্রাং-এর ছেলে মোঃ নুর আলম প্রাং, মোঃ জমশের আলী প্রাং, মোঃ জালাল উদ্দিন প্রাং, মোঃ ইব্রাহিম প্রাং, মোঃ আব্দুল হাকিম প্রাং ও নুর আলমের ছেলে মোঃ মনি।
এদিকে সন্ত্রাসী কায়দায় সশস্ত্র হামলার নিন্দা এবং তদন্তপূর্বক দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার ও শাস্তির দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।