রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে সুনাম অর্জনকারী মাদ্রাসার মধ্যে কমিও মাদ্রাসা এখনো প্রথম স্থান দখল করে রয়েছে।
তেমনি একটি হাফিজিয়া কমিও মাদ্রাসা রয়েছে অজপাড়া গায়ে , রাজবাড়ী সদর উপজেলা বসন্তপুর ইউপি উদায়পুর গ্রামে ২০১৬ সাল হইতে উদয়পুর হাফিজিয়া কমিও মাদ্রাসার সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোঃ রাজু মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদ শেখ , সভাপতি মোঃ রাজু মোল্লা মৌখিকভাবে সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও , নতুন কমিটির নিকট রাজু মোল্ল, দেন নেই কোন আয় ব্যয়ের হিসাব ও প্রতিষ্ঠানের কোন অর্থ, বিভিন্ন ডোনারের অর্থ ও মাদ্রাসার আয় এখনো আসছে রাজু মোল্লার নিকট অসহায় নতুন কমিটি, হতাশায় শিক্ষার্থীরা, সাবেক সভাপতি রাজু মোল্লা প্রভাব বিস্তার করে ঈদুল আযহার ছুটির অজুহাতে রেজ্জেক এর মাধ্যমে উদয়পুর হাফিজিয়া কমিও মাদ্রাসার প্রধান ফটোকে তালা মেরে বন্ধ করে দেন সাবেক সভাপতি মোঃ রাজু মোল্লা, অভিযোগ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির।
সাবেক সভাপতি রাজু মোল্লা বলেন ঈদুল আযহার আগ পর্যন্ত এই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ছিলেন ৩৫ থেকে ৪০ জন , এই মাদ্রাসার মাহতামির শিক্ষার্থী রেজিস্টার খাতায় রয়েছেন ৩১ জন শিক্ষার্থী।
এই মাদ্রাসার আয়ের কিছু উৎসহ তুলে ধরা হলো , প্রতি কোলার হাটে এতিমদের নামে কালেকশন , গ্রামে গ্রামে কালেকশন , নেয়া হতো প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিকট হইতে খোরাকি বাবদ ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত , রয়েছে দান বাক্স , মাদ্রাসার নিচতলায় রয়েছে ইউসুফ মুসল্লী মসজিদ প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে কালেকশন হত ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা , কুয়েতি সংস্থা দিতেন এতিমদের প্রতিমাসে ৫০০০রের ঊর্ধ্বে টাকা , এই অর্থ এখনো চলমান রয়েছে, এই আয়ের অর্থ পুরাটাই নিতেন সভাপতি রাজু মোল্লা, অভিযোগ একাধিক ব্যক্তির।
রাজু মোল্লা বলছেন ব্যাংক এশিয়ায় প্রতিষ্ঠানের নামে একাউন্ট করা আছে, এতিমদের অর্থ সেই একাউন্টেই রাখা হয়।
তবে প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব ব্যাংক স্টেটমেন্ট শিক্ষার্থীদের তালিকা সহ কিছুই দেখাতে পারেননি রাজু মোল্লা, এই প্রতিবেদকে জানান সব হিসাব নিকাশ আছে আপনাদেরকে পরে দেয়া হবে পরে দেয়ার কথা থাকলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেখাতে পারেনি।
২০১৬ সাল হইতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সভাপতি রাজু মোল্লা বলেন আমরা ঈদুল আযহার আগে মাদ্রাসার কমিটির দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি , মাদ্রাসায় এখন নতুন কমিটি গঠন হয়েছে।সভাপতি মোঃ আরশাদ চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল-আমিন,। নতুন কমিটি গঠন করে, বন্দুক ছাড়া যুদ্ধে নামিয়ে দেয়ার মত , হাত, পা বেঁধে নামিয়ে দেয়া হয়েছে সাঁতার কাটতে , নদীতে নেমে হাবুডাবু খাচ্ছে নতুন কমিটি , এদিকে পুরাতন সভাপতি রাজু মোল্লা বলছে , নতুন কমিটি গঠন হয়েছে কথা সত্য কাগজে কলমে এখনো আমরাই রয়েছি মাদ্রাসার কমিটিতে বহাল,। তাই আয় ব্যয়ের হিসাব ব্যাংক একাউন্ট সবই রয়েছে আমাদের আয়েত্তে , সভাপতির এই রহস্যময় কথার উত্তর খুঁজতে গেলে বেরিয়ে আসে চঞ্চলকর তথ্য।
সভাপতি রাজু মোল্লা রয়েছে স্থানীয় বি,এন,পির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় স্থানীয় বি,এন,পি'র রাজনীতির প্রভাবশালী নেতা, এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় রাজু মোল্লার সামনে প্রতিবাদ তো দূরের কথা কেও তার কথার বাইরে চলার সাহস রাখেনা , তার অর্থ, আছে তার এলাকায় প্রভাব , এই কারণেই নতুন কমিটি হইতে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার ও আয় ব্যয় হিসাব নেয়ার সাহস রাখেনা নতুন কমিটি, এই প্রতিবেদক এলাকায় অনুসন্ধানে গেলে, একাধিক এলাকাবাসী এই অভিযোগ করেন, ক্যামেরার সামনে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি , গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হলেও তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
এলাকাবাসী আরো জানান , ইউসুফ মুসল্লী মসজিদ ও উদায়পুর হাফিজিয়া কমিও মাদ্রাসার জমি দাতা মোঃ ইউসুফ মুসল্লী , তাহলে এলাকাবাসীর কৌতহল জমি দাতা ইউসুফ মুসল্লী,। তাহলে মাদ্রাসা ও মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর মোল্লা কি করে হয়, এখানেই প্রশ্ন এলাকা বাসীর, তবে ইচ্ছা থাকলেও সাহস রাখেনা এই প্রশ্ন করার এলাকাবাসী। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রশ্ন রাজু মোল্লা এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ করেছে ও হিসাবে গরমিল রয়েছে যার সঠিক হিসাব দিতে পারবে না, বিধায় নতুন কমিটিকে কাগজে কলমে হিসাব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছে না, পাঠকগণ লেখার ভাষায় বুঝে নেবেন, সাবেক সভাপতি রাজু মোল্লা তাহলে এলাকায় কতটা প্রভাবশালী , এলাকাবাসীর দাবি বন্ধকৃত মাদ্রাসাটি ও এতিমদের অর্থ আয় ব্যয়ের হিসাব নতুন কমিটির নিকট বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নবনির্বাচিত রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নওয়াব আলীর নিকট ও রাজবাড়ী সদর নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এই প্রতিবেদকের মাধ্যমে আহ্বান জানান । আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে নতুন কমিটিকে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা দাবিদার মোঃ লুৎফার মোল্লার নির্দেশে মাদ্রাসার মাহাতামীন মোঃ তরিকুল ইসলাম বেশ কয়েকজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এতিম সাজিয়ে কুয়েতি সংস্থার টাকা এতিমদের নামে উত্তোলনের স্বার্থে কুয়েতি সংস্থার প্রতিনিধি মোঃ নুরুল ইসলাম মাদ্রাসায় পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ সহ ৩-৪ জনকে এতিম সাজিয়ে পরিদর্শক কে দেখানো হয় , কুয়েতি সংস্থা বেশ কয়েকজন এতিম শিক্ষার্থীদের কে প্রতি মাসে ১৩৫০ টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকে যাহা এখনো চলমান রয়েছে।
এতিম বাবদ বরাদ্দকৃত কুয়েতি সংস্থার অর্থ দুই বছর আগে দুই থেকে তিনজন ছাত্র ৪ মাস পর্যন্ত পেয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান , কুয়েতি সংস্থার অর্থ চলমান রয়েছে তবে সেটা এখন শিক্ষার্থীরা পান না, বলে অভিভাবকদের দাবি , কুয়েতী সংস্থার অর্থ এখন শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় না,বলে সত্যতা নিশ্চিত করে সভাপতি রাজু মোল্লা।
অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসার মাহতামি তরিকুল ইসলাম কে দেড় মাসের ১৮ হাজার টাকা বেতন পরিশোধ না, করেই চাকরী চুত করা হয় , ৭০০০ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেতনের টাকা চাইতে গেলে সভাপতি রাজু মোল্লা বলেন মাদ্রাসার আয় ব্যয়ের হিসাব দিয়ে বেতন নিবেন , এজেনো নিজস্ব ব্যক্তিগত আইনেই চলছে সভাপতি রাজ্য ,মাদ্রাসায় একটি শক্তিশালী কমিটি থাকা সত্ত্বেও হিসাব দিতে হবে শিক্ষকের, এজেনো শিক্ষক তাড়ানো একটি অভিনবো কৌশল, এই হিসাবে উত্তর জানতে এই প্রতিবেদক জান রাজবাড়ী ইমাম কমিটির দায়িত্বশীল এক ব্যক্তির নিকট , প্রশ্ন করতেই উত্তর দেন এই হিসাবের উত্তর আমার দেয়ার মত ভাষা জানা নেই।
গাবলা গ্রামের বিল্লাল শেখের নিকট জানতে চাইলে বলেন আমি একজন এতিমকে দায়িত্ব নিয়ে ভর্তি করিলে কুয়েতি সংস্থার এতিমদের দেয়া অর্থ ১৩৫০ টাকা কয়েক মাস পেয়েছিল এখনো নিয়মিত কুয়েতি সংস্থার অর্থ আসে, তবে কোনো শিক্ষার্থী পায়না বলে আমি জানি ,আরো একাধিক অভিভাবক এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে , নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন আমার ছেলের নামে বরাদ্দকৃত কুয়েতি সংস্থার ১৩৫০ টাকা চাইতে গেলে সভাপতি রাজু মোল্লা আমার সাথে দূর ব্যবহার সহ হুমকি-ধমকি দেন , কুয়েতি সংস্থার অর্থ এখনো চলমান রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়।
অভিযোগ রয়েছে সভাপতি রাজু মোল্লা বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই মৌখিক ভাবে সভাপতি দায়িত্ব ছেড়ে দিতেন সাথে রেজ্জেক কে দিয়ে মাদ্রাসা তালা মারার হুমকিও দিতেন, পুনরায় রাজুর সভাপতি পদ বহল রাখার স্বার্থে, প্রভাব বিস্তার করে মোটরসাইকেল শোডাউন দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করিয়া পুনরায় সভাপতি পদ বহল রাখতেন।
লুৎফর মোল্লার ছেলে মোঃ রাজু মোল্লা তার বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসা গড়ে তোলেন সেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে রাজু মোল্লা বিভিন্ন কৌশল অজুহাতে উদয়পুর হাফেজিয়া কমিও মাদ্রাসা বন্ধ করার, বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছিল বলে একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি রাজু মোল্লা বলেন ইতিপূর্বে এক শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অপরাধে মাদ্রাসার মাহাতানি কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ,। রাজু মোল্লা বলেন ব্লককার এর অপরাধে পুলিশ দিয়ে আমি গ্রেফতার করিয়েছি । পরে পুলিশ তাকে ছেড়েও দিয়েছে বলে রাজু মোল্লা জানান।
এলাকাবাসী বলছে ভিন্ন কথা , মিথ্যা অপবাদে মাহাতামিকে গ্রেফতার করানো হয়েছিলো । পরে অভিযোগের সত্যতা না মিলায় পুলিশ মাহাতামি কে ছেড়ে দেন, রাজু - শহীদ কমিটির বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ । মাদ্রাসাটি এখনো তালাবদ্ধ রয়েছে ।
এই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে আসছি চাঞ্চলকর তথ্য নিয়ে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন?
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: হাসান ইমাম তালুকদার
মোবাইল: 01711412874, 01712197481
ঢাকা অফিস: ৫০/১,পল্টন লাইন, পুরানা পল্টন,পল্টন, ঢাকা।
সিরাজগঞ্জ অফিস: হাউস নম্বর ৪০, মায়া কুঞ্জ, মোক্তার পাড়া, সিরাজগঞ্জ।
Design & Development By HosterCube Ltd.