মোঃ হামজা শেখ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
চলতি পিঁয়াজ মৌসুমে রাজবাড়ী জেলার প্রতিটি উপজেলায় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রনোদনার পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরন করা হয়।
কালুখালী উপজেলাতে ও প্রতিজন কৃষককে ১ কেজি করে বারী পিঁয়াজ ৪ জাতের বীজ বিতরন করা হয়। কিন্তুু এ বীজ কোথায় ও অঙ্কুরোদগম হয় নাই। ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন এ উপজেলার অনেক পিঁয়াজ চাষির স্বপ্ন। আবার এই বীজ পেয়ে কোথাও কোথাও বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তেমনি একটি অভিযোগ কালুখালীর মাজবাড়ী ইউনিয়নের মাজবাড়ী সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে বীজ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সে মাজবাড়ী ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের একজন শিক্ষক ও কৃষক। এ জাতের বীজ বপন না করে তা তিনি ৩৫০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন জৈনক ব্যক্তির কাছে।
স্কুল শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি বীজ বপন করেছি। কোথায় বপন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনাদের কাছে বলতে আমি বাধ্য নই। তিনি প্রতিবেদককে হুমকি দেন এবং বলেন এ বিষয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ হলে আপনাদের দেখে নিবো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে এই আক্তারুজ্জামান স্কুল শিক্ষক হলেও আওয়ামী লীগের সরকারের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। এখনো একই দাপট দেখাচ্ছেন।
বীজ বিক্রির বিষয়ে মাজবাড়ী ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা রিপন জানান সরকারী বীজ বিক্রির কোন সুযোগ নেই। সে যদি এরকম কাজ করে থাকে তাহলে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে আমি অবগত করবো।