মো: গোলাম কিবরিয়া। রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বিগত সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও আজোও এই নগরির প্রান্তিক মানুষের বসতি বা আবাসন নিয়ে কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাসতবায়ন হয়নি। দরিদ্র মানুষের জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য বসতির গড়ার কার্যকর কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। দ্রুত নিরাপদ বসতির দাবি জানিয়েছেন শহরের দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ।
বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে রাজশাহী নগরীর নামোভদ্রা বস্তির লেকপাড়ে নিরাপদ বসতির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন বস্তি থেকে আগত নারী পুরুষগণ অংশগ্রহণ করেন। নগর দরিদ্র মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে উক্ত মানবন্ধনটি সঞ্চালনা করেন বারসিক’র গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো: শহিদুল ইসলাম। এতে বক্তব্য দেন নগর দরিদ্র মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক খোরসেদ আলম, সদস্য সচিব নিলুফা ইসমত আরা, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম এর সভাপতি শাইখ তাসনীম জামালসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
বক্তরা বলেন- বস্তিশুমারী ২০১৪ অনুযায়ী রাজশাহী মোট বস্তির সংখ্যা ১০৪ টি। এতে প্রায় বর্তমান বিশ হাজারের বেশি পরিবার বসবাস করে। এসব বসিতবাসীর প্রায় ৮০.৫৫% খানা সরকারি জমিতে ঝুপড়ি বা ছোট টিনের ঘরে বসবাস করে। দেশের অন্যান্য নগরের মতো রাজশাহীতেও দিনে দিনে বস্তির স্যংখা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নগরের বস্তিবাসী এবং ভূমিহীন প্রান্তিক মানুষের জন্য কোন উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো নয়। বস্তিতে একটি ঝুপড়ি ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হয়। এর উপর উচ্ছেদের যন্ত্রনা ভোগ করতে হয় যখন তখন। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ, পানি অধিকার থেকে বঞ্চিত।
মানববন্ধনের সমাপনী ও দাবি উপস্থাপন করে আহবায়ক মো: খোরসেদ আলম রাজশাহী নগরীতে অনতিবিলম্বে দরিদ্র এবং বস্তিবাসীদের জন্য নিরাপদ আবাসন কার্যক্রম শুরুর দাবি জানান। প্রতিবছর গৃহায়ণ র্কতৃপক্ষ এবং রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ধনীদের জন্য আবাসন প্রকল্পের কার্যক্রম হাতে নেয় , কিন্তু গরীবের জন্য নেয় না কেনো? তিনি বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে বস্তিবাসীদের নিরাপদ বসতী গড়ে তোলার দাবি জানান।