রাজশাহী প্রতিনিধি:
সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান অন্তবর্তিকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর পর রাজশাহীতে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। এরই মধ্যে রাজশাহী নগর ভবনসহ শতাধিক স্থাপনায় আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়ি, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৈারিদ আল মাসুদ রনির কার্যালয়। আগুন দেয়া হয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে, রাজশাহী কলেজে, বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে, বাড়িতে, বিভিন্ন স্থাপনায়। লুট করা হয়েছে ব্যাংকের বুথ, দোকানপাট, সিটি ভবনের মালামাল, মেয়রের বাড়ির মালামাল।
এছাড়াও হামলার চেষ্টা করা হয় নগরীর বোয়ালিয়া থানা, শাহ মখদুম থানা, রাজপাড়া থানা ও কেন্দ্রীয় কারাগারে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক থাকায় সেসব থেকে সরে আসেন বিক্ষুব্ধরা।
একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে নগরীর আলুপট্টিতে আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নির্বিচারে গুলি চালান। এ সময় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করাও হয়। গুলিতে অন্তত ৩০ জন আহত হোন। এর পর থেকেই মূলত নগরজুড়ে ব্যাপ উত্তেজনা তৈরী হয়। শেষে বিকেলে শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবর এলে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজশাহী নগরী। বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোটা নগরীতে ধোয়ার কুন্ডলি ছড়িয়ে পড়ে। গোটা নগরীর ছেয়ে যায় ধোঁয়ায়। তবে বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে বার বার আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানান বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।