রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ভারী যান-বাহন চলাচল করায় ভেঙে গেছে ব্রিজ, যে কোনো মুহূর্তে দেবে যেতে পারে সেটি। তবুও ভাঙ্গা ব্রিজটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার-হাজার পথচারী ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কেউ এগিয়ে আসেননি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউয়িনের বিল গোদগাঁতী গ্রামে জরাজীর্ণ ব্রিজটি দাঁড়িয়ে আছে। ওই পথ ধরে প্রতিদিন গোদগাঁতী, ভাতাহাড়িয়া, ধর্মদাসগাঁতী, হাসিল হোসেন গ্রামের কয়েকশ যানবাহনসহ হাজারো পথচারী যাতায়াত করেন
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন আগে ইসলামপুর গোদগাঁতী থেকে ভাতাহাড়িয়া যাওয়ার রাস্তায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে মাটিবাহী ট্রাক ও ভারী যানবাহন চলাচল করায় ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙ্গে দেবে গিয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটি বিছিয়ে কোনো রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও ব্রিজটি সংস্কার কিংবা পুন:র্র্নিমাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা।
তাদের অভিযাগ, ব্রিজটির মাঝখানে গেছে ভেঙে। ব্রিজের এমন বেহাল দশায় আতঙ্কিত পথচারীরা। ব্রিজটির ওপর দিয়ে আশপাশের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ উপজেলা শহরে আসা-যাওয়া করে। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মিশুক গাড়ী, ভ্যান, সাইকেল, মোটর সাইকেল চলাচল করে। কিন্তু এক বছরের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনো সংস্কার করেনি কর্তৃপক্ষ।
ওই এলাকার বাসিন্দা গোলাম হোসেন বলেন, রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে গোদগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাতাহাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
ব্রহ্মগাছা ইউপি চেয়ারম্যান গোলমা সরোয়ার লিটন বলেন, ব্রিজটি অতিদ্রুত নির্মাণ করা প্রয়োজন। ভাঙা ব্রিজটির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে ব্রিজটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।#