রায়গঞ্জ প্রতিনিধি:
পরিবেশ বাদী সুশীল সমাজের বিপত্তি !
রায়গঞ্জ উপজেলা চত্বরে দ্বিতীয় দফায় কম বয়সী গাছ কর্তরের অপচেষ্টা ।
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা চত্বরে ২য় দফায় কম বয়সি ছায়া দানকারী রকমারি ফলজ গাছ বিক্রির হটকারী সিদ্ধান্ত।পরিবেশবাদী সুশীল সমাজের বিপত্তির মুখে ঝুলে আছে গাছ কাটার সিদ্ধান্তটি।
জানা যায়,উপজেলা চত্বরে বেশ কিছু পুরাতন ও মরা ঢুড়া গাছ কর্তনের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলি ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়।উপজেলা চত্বরের চার পাশে ছায়া দানকারী এখনো অনেক ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ গাছ রয়েছে কম বয়সি।
উপজেলা গাছ বিক্রয় কমিটির ২য় দফায় উপজেলা চত্বরে ছায়া দানকারী আমের মুকুলে ভরে ওঠা কম বয়সী গাছগুলি বিক্রয়ের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে কম বয়সী চারা গাছগুলিতে রঙ্গে বেরঙের নয়নাভিরাম আমের মুকুল এখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে।গাছগুলির গোড়ালি গুলোতে উপজেলায় বিভিন্ন অফিসে সেবা নিতে আসা আগত জনসাধারণের বসার জন্য গাছের গোড়ালি গুলো ইট সিমের দ্বারা বেধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই কম বয়সী গাছগুলি কর্তনের পিছনে কোন যুক্তি নেই।এমটা মনে করছেন এলাকার পরিবেশবাদী সুশীল সমাজ ও উপজেলা বাসী।এবিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক দীপক কুমার কর বলেন গাছ আমাদের বিনামূল্য অক্সিজেন দেয় ছায়া দেয় ফরজ গাছগুলো আমাদের পুষ্টির যোগান দেয় কাজেই কম বয়সী ফলজ গাছ গুলো বিক্রিয় সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র নিন্দা জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানের সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইমরুল হোসেন ইমন তালুকদার জানান উপজেলা ক্যাম্পাস শোভা বর্ধন করা জন্য ২য় দফদয় গাছগুলো কর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং গাছ গুলো নাম্বার করনের কাজ শেষ হয়েছে।