মোঃ জাকির হোসেন রনি উত্তরাঞ্চলীয় প্রধানঃ
বগুড়ার শেরপুরে গরু চুরির ঘটনায় আছির উদ্দিন (কাইলা) নামে একজন গরুচোর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
গণপিটুনিতে নিহত আছির উদ্দিন (৪২) উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর গ্রামের কলোনি পাড়ার মৃত ফজল হকের ছেলে এবং আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া পিকআপটির মালিক ও চালক।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) একই উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শুবলী গ্রামে রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর ধনুট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে শুবলীসহ আশেপাশের গ্রামে গরু চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে।
এ কারণে ওই এলাকার লোকজন গরু চুরি রোধে রাত্রি জেগে দলগত ভাবে পালা করে পাহারা দিয়ে থাকে।
এমতাবস্থায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে চোরের দল গরু চুরি করতে এলে তাদের মধ্যে একজন জনতার হাতে ধরা পড়ে।
এ ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতাদের রোষানলে পড়ে এবং গণপিটুনিতে সে মারা যায়।
ওই রাতে চুরি হওয়া গরুর মালিক রেশমা বেগম জানান, গরুসহ চোর ধরা পড়েছে এমন হইচই শুনে আমি ঘুম থেকে জাগা পেয়ে আমার গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং আমার গাভী গরু নেই।
আমার স্বামী পেশায় একজন ট্রাকচালক হওয়ায় সে বাড়িতে ছিল না।
গভীর রাতে আমি একাই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই গরুটি আমার। তখন আমি আমার গাভী গরুটি বাসায় নিয়ে এসেছি।
এদিকে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিহত আছিরের চাচাতো ভাই তানভীর আলম জানান, আছির পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী ও মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।
সে নিজের ব্যবসা ভালোভাবে পরিচালনার জন্য ছয় মাস পূর্বে পিকআপটি ক্রয় করে নিজেই চালিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিল। সে কিভাবে ওখানে গেল বা পূর্বেও তার বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলা আছে এরকম বিষয় আমাদের জানা নেই।
তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার দাবি জানান তিনি।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর ধনুট সার্কেল সজীব শহরের বলেন নিহত আসরের বিরুদ্ধে পূর্বেও গরু চুরির মামলা রয়েছে।