শাহরিয়ার মোরশেদ, সলঙ্গা (সিরাজগন্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গায় কুতুবের চড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মৎস আড়ৎ বন্ধে ও জোরপূর্বক ভাবে দখলকৃত জায়গা উদ্ধারে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে জায়গার প্রকৃত মালিকগন।
২৩ শে এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১০ টার দিকে কুতুবেরচর মৎস্য আড়ৎ এর সামনে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রায় ৩ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষসহ স্থানীয় জমির মালিকগন। সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ১৫ জন জমির মালিক জানায়, মৎস্য আড়ৎ কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই খান বিভিন্ন সময় মৎস্য আড়ৎটিকে নিজের সুবিধা আদায়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করে। একসময়ের ঐতিহ্য বাহী সলঙ্গা মৎস্য আড়ৎটি হাটিকুমরুল নিয়ে যায় আব্দুল হাই আবার সেই আব্দুল হাই ই সিরাজগঞ্জ রোড থেকে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য পুনরায় সলঙ্গা নিয়ে আসে এবং চক্রটি কুতুবের এলাকার সহজ সড়ল ও নিরিহ জমির মালিকদের সাথে প্রতারণা পূর্বক কতিপয় ব্যক্তিদের লোভে ফেলে পূনরায় মৎস্য আড়ৎটি নিজের কব্জায় নিয়ে এলাকার ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রায় ১০ বিঘা জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল করে নেন। প্রকৃত মালিকগনের সাথে সমন্বয় না করেই সংঘবদ্ধ চক্রটি পজিশন কাটা সরবারহের নামে কাটা প্রতি ২ থেকে ৩ লক্ষ্য টাকা করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এতে আমরা প্রকৃত মালিকগন সুবিধা বঞ্চিত সহ সরকারও লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছেন। অপরদিকে পরিকল্পনা বিহীন বরফ মিল করায় লবনাক্ত পানি প্রবাহিত হয়ে ফসল ও নদীর মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। এছারাও জমির মালিকদের না জানিয়েই জোরপূর্বক ভাবে আড়ৎএর ভিতরে থাকা বৃক্ষ নিধন করেছে।
আমারা দূস্কৃতিকারী আব্দুল হাই সহ সংঘবদ্ধ চক্রটির কবল থেকে আমাদের জমিগুলো উদ্ধারসহ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মৎস আড়ৎটি বন্ধে প্রসাশনের উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলন শেষে আশপাশের প্রায় ৩ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ মানববন্ধনে ও অংশ নেয়।
রায়গন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, জমির প্রকৃত মালিকগন যদি অভিযোগ দেন অবশ্যই দখল উদ্ধার করা হবেএ এছাড়া হাটপেরিফেরীর জায়গা ও ইজারা ছাড়া মৎস্য আড়ৎ চলতে পারেনা এটা অবৈধভাবে চলছে। হাটপেরিপেরির জায়গা না হলে বন্ধ হয়ে যাবে।