শাহরিয়ার মোরশেদ,
সলঙ্গা ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি –
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মধ্যপাড়া সি আর বি সি এলাকায় নাটোর রাজশাহী মহাসড়কের পাশ থেকে বিপুল পরিমান চোরাই মালামালসহ চোর চক্রের মূল হোতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর আলমসহ চারজনকে আটক করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।
শনিবার বেলা ৩ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোরাই মালামালসহ চারজনকে আটক করা হয়।
আটক চারজন হলো বড়হর ইউনিয়নের রাঘববাড়িয়া চিলারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ মন্ডলের ছেলে চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর আলম (৫০) ও জাহাঙ্গীরের ভাই হেলাল (৩৫) ও একই এলাকার হৃদয় ভুইয়া (২০) ও আমিরুল ইসলাম(২০) ।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর দুই হলো জাহাঙ্গীর সি আর বিসি এলাকায় এসে ভাঙ্গারীর দোকান করে। খালি একটা চৌকি পেরে ছোট্র একটা রুম নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। জাহাঙ্গীর এই দুই বছরে চোরাই মালামাল ক্রয় বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকার মানুষ হয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, একসময়ে নিঃস্ব জাহাঙ্গীর গ্রামের বাড়িতে ও নাকি পাকা বিল্ডিং নির্মান করছে। এছারা ও এই দুই বছরে মূলধন দারিয়েছে প্রায় পাঁচগুন। একটা ব্যবসায় কি করে দুই বছরেই এতো উত্থান হয় এত লাভ কি করে হয় আজ পুলিশ আসার পর বুঝতে পারলাম। সে এখানে মধ্যেপাড়ার ছেলে আলমগিরের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়েছে। আলমগীর ও তার শশুর জাহাঙ্গীর মিলেই ব্যবসা পরিচালনা করে।
যার কারনে চোরাইমাল কিনলেও কেউ কিছুই বলেনা।
এলাকাবাসী আরও জানান, রাজশাহী মহাসড়কের পাশে সি আর বিসি এলাকায় জাহাঙ্গীর, জাকির, ইউছুফ, হাসান, শরিফ সহ বেশ কয়েকটা ভাঙ্গারীর দোকান রয়েছে এসব অধিকাংশ ভাঙ্গারীর দোকানে চোরাইমাল ক্রয় বিক্রিয় হয়।
যার কারনে এলাকায় চোরের উপদ্রব বেরে চলছে ইদানিং বাইরে কিছুই রাখাই যায় না, রড ও লোহা জাতীয় জিনিস পত্র, মটর, টিউবয়েলসহ যাবতীয় কিছু চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমন কি রান্না ঘরে রাখা হাড়ি পাতিলও।
ভাঙারী দোকান গুলোকে আইনের আওতায় আনলে চুরি অনেকাংশেই কমে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক বলেন, চোরাই মালামাল ক্রয়ের সিন্ডিকেটের মূল হোতা সহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।