সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দ্রকণা দই ভাঙ্গা কাটাখালি নদীতে ইতিপুর্বের জমির মালিকেরা শুস্ক মৌসুমে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কতিপয় স্বার্থান্বেষী ভুমিদস্যুরা দই ভাঙ্গা কাটাখালি নদীতে সরকারি নিয়মনীতি ভঙ্গ করে নদীর মাঝখানে বানা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও জোর পুর্বক মাছ চাষ করার পাঁয়তারা করছে চন্দ্রকণা গ্রামের রবিউল সরকারের ছেলে মিলন সরকার, মৃত মরম আলীর ছেলে বাবলু, মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আবু হাসান ও মৃত দেলবার হোসেনের ছেলে গাফ্ফার আলী গংরা।
এতে প্রকৃত জমির মালিকেরা শুস্ক মৌসুমে ফসল চাষে নানা প্রতিকুলতায় পড়ছে এলাকার ২ শতাধিক চাষিরা। ইতিমধ্যে কতিপয় বিত্তবান ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে সকল মালিকদের বঞ্চিত করে মাছ চাষের নামে বানা দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে আইনশৃংখলার অবনতি ও এলাকার সহজ সরল পরিবারকে মারপিট, ভয়ভীতি, হুমকি ধামকি ও কৃষকদের নামে মিথ্যা মামলার হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
মাছ চাষে বাধা দেওয়ায় একই এলাকার ভুমিদস্যু গাফ্ফার আলী বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আদালত সিরাজগঞ্জে মিন্টু সেখ, আবু বক্কার, আজিজুল হক, আব্দুল আওয়াল লিখনকে আসামী করে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসির মাঝে নানা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মিলন সরকার, বাবলু, আবু হাসান, গাফ্ফার আলী গংরা দই ভাঙ্গা নদীতে শুস্ক মৌসুমে চাষাবাদকারী কৃষকদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে বলছে-আমাদের মাছ চাষে বাধা দিতে আসলে তোদের নামেও আরো মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করবো। সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকিতে ভুক্তভোগী পরিবারের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসি সহকারি কমিশনার (ভুমি) বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরকারি ১ নং খতিয়ানের দই ভাঙ্গা কাটাখালিতে অবৈধভাবে মাছ চাষের নামে জলাশয় দখলের বিষয়টি নিয়ে হামলা মামলায় এলাকার সচেতন মহলে নানা গুনজন শুরু হয়েছে। অপরদিকে সরকারি জলমহলের নিয়ম অনুযায়ী ইজারা বহির্ভৃত মাছ চাষ করার কোন প্রকার বৈধতা না থাকলেও ভুমি অফিসকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে জলমহল দখল করে মাছ চাষ শুরু করেছে। এতে কৃষকেরা তাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে সুবিধা বঞ্জিত একাধিক কৃষক সদর থানায় দুইটি জিডি করেছেন যার নং-৩৯৫,তারিখ-০৬.০৭.২৪ইং ও ১৯৯৪, তারিখ-২৯.০৬.২৪ইং।
এ বিষয়ে সদর থানার এস.আই মানিক উদ্দিন জানান-সাধারন ডায়েরী হবার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। উক্ত ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর সহকারি কমিশনার (ভুমি) এস.এম রাকিবুল হাসান বলেন- এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।