আলী আশরাফ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি,
সিরাজগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় কজ্বি
কেটে দিল প্রতিপক্ষরা : গ্রেফতার ২
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : পাওনা টাকা চাওয়ায় কজ্বি কেটে দিল প্রতিপক্ষরা। কব্জি পুনরায় স্থাপন করতে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করলেও পঙ্গু হাসপাতাল থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ থেকে বর্তমানে ঢাকা মোহাম্মদপুর আল মানার হসপিটাল চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে বর্তমানে কব্জি পুনরায় স্থাপন করতে চেষ্টা চলছে। শরিফুল ইসলাম এর স্ত্রী তানিয়া খাতুন বাদী সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ইউনুস আলী পুত্র মো: মঞ্জু (৩৬) ও আফজাল খন্দকারের পুত্র মো: রুবেল (৪৮) আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সড়াইচন্ডি গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের পুত্র মো: শরিফুল ইসলাম (৩৬) একই গ্রামের মো: জেল হোসেন এর পুত্র মো: সুজন (২৮) ও মহবুল হোসেন পুত্র আলহাজ্বকে কে বেশ কিছুদিন পূর্বে ২ লাখ টাকা ব্যবসার কাজে ধার প্রদান করে। ধারের টাকা চাইতে গেলে সুজন ও আলহাজ্ব এর সাথে কথাকাটি হয়। কথাকাটি ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত গত (১৭ মার্চ ২০২৪ইং) রবিবার রাত্রী সাড়ে ৯টার দিকে শরিফুল ইসলাম সড়াইচন্ডি নতুন বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সড়াইচন্ডি শুকনা নদীতে পৌছিলে জেলার হোসেন পুত্র মো: সুজন (২৮), মহবুল সেখ পুত্র আলহাজ্ব (২৬), ইউনুস আলী পুত্র মো: মঞ্জু (৩৬), জেল হোসেন পুত্র মো: সাইদুল ইসলাম (৩৩) মহবুল হোসেন এর পুত্র আলপি (৪২), আফজাল খন্দকারের পুত্র মো: রুবেল (৪৮), কালু খন্দকার এর পুত্র মো: মনি (২৮) সহ ৪/৫জন দেশীয় অস্ত্র- রামদা, রড, ছুরি নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়। মাথায় কোপ দেওয়ায় শরিফুল ইসলাম ডান হাত দিয়ে বাঁধা প্রদান করায় ডান হাতের কব্জি বিছিন্ন হয়ে যায়। কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শরিফুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে পড়ে। মুর্হুর্ষূ অবস্থায় এলাকাবাসী শরিফুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গ হাসপাতালে রেফার করেন। কব্জি পুনরায় স্থাপন করার জন্য পঙ্গু হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। বর্তমানে শরিফুল ইসলাম এর কব্জি পুনরায় স্থাপন করার জন্য ঢাকা মোহাম্মদপুর আল মানার হসপিটাল ভর্তি রয়েছে। তবে বর্তমানে কব্জি পুনরায় স্থাপন করতে চেষ্টা চলছে
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।