আশরাফুল ইসলাম জয়:
সিরাজগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন (এনটিআরসিএ) পরিক্ষার কেন্দ্র না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, (এনটিআরসিএ) এর পরিক্ষার কেন্দ্র থাকলেও সিরাজগঞ্জে নেই এই জনপ্রিয় পরিক্ষার কেন্দ্র। ফলে বাধ্য হয়ে পরিক্ষা দিতে যেতে হয় অন্য জেলায়। অন্য জেলায় পরিক্ষা দিতে গিয়েও যেন ভোগান্তির শেষ নেই পরীক্ষার্থীদের। গতকাল ১৫ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বেলা সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিকেলে সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটি চাকরী পাওয়ার আশায় হাজার হাজার সিরাজগঞ্জের চাকরী প্রার্থী আবেদন করেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন (এনটিআরসিএ) তে সিরাজগঞ্জে এই কেন্দ্রটি না থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের। মালশাপাড়া গ্রামের পরীক্ষার্থী আরিফা সুলতানা জানান, স্কুল পর্যায়ের ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাকে এসএমএস না দেওয়ায় পরীক্ষার ডেট টিও জানি না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যান্যদের পরীক্ষার কথা জানতে পারি। পরে আমার আবেদনের পত্র দিয়ে প্রবেশপত্রটি ডাউনলোড করি। প্রবেশপত্রে বগুড়ার বীট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র দেখা মেলে। কিন্তু বীট মডেল স্কুল এন্ড কলেজ দুইটি প্রান্তে দুইটি কলেজ থাকায় পরীক্ষার আগেই চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। যদি পরীক্ষাটি সিরাজগঞ্জে হত তাহলে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হতো না।
সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বিড়ালা কুঠি এলাকার জাহাঙ্গীর আলম জানান, একদিন আগে জানতে পারি ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার খবর পরে বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখি কোন বাসের সিট ফাঁকা নেই। এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে পরীক্ষার কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারব কিনা আমার জানা নেই। খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খাদিজা খাতুন জানান, পরীক্ষার দিনেও অবৈধভাবে পরিক্ষার্থীদের গাড়ি আটকিয়ে বিভিন্ন চাঁদা আদায় করছে। যে কারণে সঠিক সময়ে পরিক্ষার কেন্দ্রে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শহরের সিএনজি চালক ইসলাম জানান, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বগুড়ায় গিয়ে ছিলাম, অত্যন্ত ৭টি পয়েন্টে ১৭০ টাকার চাঁদা উত্তোল করেছে বিভিন্ন মহল। অন্তত পরীক্ষার দিনে এমন অবৈধ চাঁদা বন্ধ রাখার জন্য পুলিশি তদরকি রাখা উচিত ছিল। এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক জুবায়ের জানান, পরিক্ষার্থীদের গাড়ি আটকিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা আদায় একটি নেক্বার জনক ঘটনা। গাড়ি আটকিয়ে সময় অপচয় হওয়ার কারণে অনেকেই হয়তো সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবে না। পরিক্ষার কেন্দ্র টি সিরাজগঞ্জের পরীক্ষার্থীদের জন্য সিরাজগঞ্জে হলে এমন বিড়াম্বনার শিকার হতে হতো না শিক্ষার্থীদের।
সিরাজগঞ্জের সচেতন মহলের দাবি দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জে কোন মন্ত্রী পদ না থাকায় নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই অঞ্চলের মানুষ। আগামীতে শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষা নিজ জেলায় ব্যবস্থা করার দাবি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।