আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জে যমুনানদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি ১২৭৬ পরিবার এবং ৪০০ হেক্টরের ও বেশি ফসলী জমি। আর নদীর তীরাঞ্চল ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় ফসলীজমি, ঘর-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে এর মধ্যে অনেকে ঘর, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় জিনিস ও প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিচ্ছেন।
যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ইছামতি, ফুলজোড় নদীর পানিও ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা দিচ্ছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছ। অপরদিকে,
কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসমীরা ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায় যে, যমুনানদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি ফসল, রাস্তা-ঘাট, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন-রাত ধরে যমুনানদীরপানি ফুলেফেঁপে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি হচ্ছে বিপৎ সীমা অতিক্রম করেছে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলো জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল সহ অনেক এলাকায় প্লাবিত হয়ে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, মরিচ সহ অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে গেছে এতে ক্ষতির পরিমান এখন নিরুপন করতে পারেনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলার ৫ টি উপজেলার ১২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি। দূর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। ৫০০ টন চাউল আর ১০ লক্ষ টাকা মজুত রয়েছে সময়মত সেগুলো বিতরণ করা হবে।