স্টাফ রিপোর্টার:
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ৩ দিন ধীরগতিতে কমতে থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে। অপরদিকে যমুনা নদীর মধ্যবর্তী চরাঞ্চলে বন্যায় প্রায় ১ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
এ দিকে বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। শুক্রবার ১২ জুলাই দুপুরে সিরাজগঞ্জের হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ মিটার।
এই পানিবন্দী মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত আছে বলে আমাদের জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।তিনি বলেন আমার ব্যক্তিগত এবং সরকারি তহবিলের ত্রাণ সহযোগিতা আমি এই পানিবন্দী মানুষের মাঝে বিতরণ করে আসছি এবং অভ্যতা আছে।
সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া মুন্সি বলেন,আমার ইউনিটি যমুনা নদীর মধ্যবর্তী ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো পরিবারই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে আমার ইউনিয়ন পরিষদের ত্রাণ সহযোগিতা তাদের মাঝে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সায়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নবীদুল ইসলাম তিনিও বলেন আমি সরকারি তহবিলের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত তহবিল হতে ক্রয় করে পানি মধ্যে মানুষের মাঝে এই ত্রাণ সহযোগিতা করে আসছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, আজকেও যমুনা নদীর পানি কিছুটা বাড়েছে।
আগামীকাল থেকেই যমুনার পানি কমতে পারে। তবে চলতি মাসে সিরাজগঞ্জে বন্যার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৩০৬টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বন্যাদুর্গত এসব মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩৩ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনও ১ হাজার ১৬৭ মেট্রিকটন চাল, ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বন্যায় জেলার সদর, শাহজাদপুর ও চৌহালীত উপজেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।