শেখ মোঃ এনামুল হক, সিরাজগঞ্জ ব্যুরো চীফঃ
সিরাজগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজায় মন্দিরে মন্দিরে সারারাত নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে পাহাড়া দিয়ে প্রসংশায় ভাসছেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক তুখোড় ছাত্র নেতা, জনতার মেয়র সাইদুর রহমান বাচ্চু।
তত্ত্বানুসন্ধ্যানে জানা যায়, গত বুধবার থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হলে বুধবার থেকেই সিরাজগঞ্জ শহরের প্রতিটি পুজা মণ্ডপে বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সারারাত পাহাড়া দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। দুর্গাপূজায় যেনো কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পাহাড়ার নেতৃত্ব দেন। বুধবার, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার রাত ১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে দলীয় নিরাপত্তা কর্মীদের দেখভাল করেন।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির কে সাথে নিয়ে শহরের প্রতিটি পুজা মণ্ডপে নিরাপত্তা প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করেন যা সকল ধর্মের মানুষের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার কানু বলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এবারের দুর্গা পূজার শুরু থেকেই প্রতিটি পুজা মণ্ডপেই বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে উৎসব সুন্দর করার জন্য সবসময় পাশে পেয়েছি এজন্য পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এব্যাপারে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আওয়ামী লীগ এতোদিন সংখ্যালঘু বলে তাদের কে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।
কিন্তু তারা সংখ্যালঘু নয় তারা বাংলাদেশী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় যেনো কেউ কোন ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান, সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ এর নির্দেশে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিটি পুজা মণ্ডপে বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের দিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্হা করেছিলাম। এবং সিরাজগঞ্জ শহরের প্রতিটি পুজা মণ্ডপেই রাত দিন ২৪ ঘন্টা নেতা কর্মীরা পাহাড়া দিয়েছে। আমি নিজেও গভীর রাত পর্যন্ত নেতা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে কিনা তার তদারকি করেছি। সিরাজগঞ্জে এবারের পূজা উৎসব সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে। এজন্য আমি সর্বস্তরের জনগণসহ দলীয় নেতা কর্মীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
