শাহাদত হোসেন:
কারার ঐ লৌহ কপাট, বল বীর চির উন্নত মম শির, চেক মেট, আমরাই আগামীর বাংলাদেশ,ফুল দেখে ভড় বাড়ছে রক্ত দেখে সাহস, ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে পারবে না, হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি, পানি লাগবে পানি? এমন নানান প্রতিবাদী উক্তি শোভা পাচ্ছে সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে।
যে দেয়ালে ছিলো বিভিন্ন পণ্যের বাহারি বিজ্ঞাপনের পসরা। তার পরিবর্তে আজ সেখানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রঙ তুলির আঁচড়ে ফুটে তুলেছে কোটা আন্দোলনের শ্লোগানসহ দেশের বিভিন্ন চিত্র আর সমাজ সংস্কারমূলক উক্তি।
এদিকে শহরে পুলিশ না থাকায় ক্রান্তিকালের এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে করে চিরচেনা বাজার স্টেশনে, চৌরাস্তা, মুজিব সড়কসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নেই কোন জ্যাম জট । গত কয়েকদিনে সড়কে ট্রাফিক পুলিশের অবর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনে কাজ করায় সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসায় ভাসছে। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে যানবাহন চালকদের অনুরোধ করছেন। রবিবার সকাল ১১ থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সময় কথা হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সাগর হোসেন, তুসার মাহমুদ এবং ফাতেমা খাতুন সিরাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা বলেন, কলেজের সামনের দেয়ালসহ কলেজের জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কর্মীদের পোস্টার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছিল। এসব পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করে সৌন্দর্য বাড়াতে দেয়াল লিখন চলছে এমনকি সমাজ সংস্কারে এসব লিখন ভূমিকা রাখবে।
তিশা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোর্টচত্বর এলাকা থেকে এ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেয়ালগুলোতে বিভিন্ন চিত্র,উক্তি,ছবি আঁকা হচ্ছে।
শাহরিয়ার শাওন নামে চৌরাস্তায় এক শিক্ষার্থী বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা যানজট নিরসনে ট্রাফিকের মতো কাজ করছেন। তাদের আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করছেন।