বিপ্লব কুমার দাস। নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ।
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার হামছাপুর, কালিয়ারগাঁও, করচারপাড় এলাকায় আকষ্মিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হকের নেতৃত্বে ।
হাওড় অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার (২৪ জুন) উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে সকাল ১১.০০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ চায়না দুয়ারী (ম্যাজিক), মশারী (কাপড়ী) জাল, কারেন্ট জাল
জব্দ করে উৎসুক জনতার সামনে উপজেলা অফিসার্স প্রাংগনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ, জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বনিক (অ:দা:) ও বালাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জনসম্মুখে জাল পুড়ানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী, সাংবাদিক জাগির হোসেন, সাংবাদিক মো: আমির আলী ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের হামছাপুর এলাকা ও বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কালিয়ারগাঁও, করচারপাড় সহ আশপাশ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ জাল গুলো জব্দ করে জনসম্মুখে পুড়ে বিনষ্ট করা হয়। অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছের পোনা ও মা মাছ ধরে ফেললে মাছের সংকট এবং আমিষের ঘাটতি দেখা দিবে। পরিশেষে সবাইকে মা মাছ ও ছোট পোনা মাছ না ধরার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চলমান বন্যায় ভেসে গেছে ১ হাজার ২শ পুকুর, দিঘী ও মৎস্য খামার, আনুমানিক ক্ষতি পরিমান ৫ কোটি টাকার অধিক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট মাছ না ধরার জন্য মাইকিং করে প্রচার প্রচারণা করা হয়। জেলে সহ সাধারণ মানুষ ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার জন্য মতবিনিময় করা হয়েছে এবং সতর্কীমূলক লিপলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।