স্টাফ রিপোর্টা
চাটমোহর উপজেলার বড়াল,গুমানী এবং নিমাইচড়া নদীর অবকাঠামো ধ্বংস করে মাটি কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবী না মানলে আন্দোলনের যাচ্ছে বড়ালনদী রক্ষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন। উক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
গত ২২ এপ্রিল চাটমোহর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চাটমোহর উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের দপ্তরে গিয়ে পৃথকভাবে ঐ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবী জানান। সরে- জমিনে গিয়ে এবং একাধিক ব্যাক্তির সাথে আলাপ করে নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।
চাটমোহর পৌর সিমানা এবং গুনাইগাছা ইউনিয়নের বড়শালিখা এবং গুনাইগাছা এলাকায় বড়ালনদীর ক্ষত- বিক্ষত বিভৎস্য চেহারা চোখে পড়ে। বড়শালিখা,গুনাইগাছা এলাকায় বড়ালনদী থেকে প্রকাশ্যে স্থানীয় ভাটার সাথে সংশ্লিষ্টরা এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় নদীর অবকাঠামো ধ্বংস করে মাটি কাটা হচ্ছে। এমন অভিযোগ চাটমোহর নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সরাসরি অভিযোগ করেন বড়ালনদী রক্ষা আন্দোলনের ১৪/১৫ জনের প্রিতিনিধি দল। নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও আবারো রাত্রে মাটি কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঐ মাটি খেকো সিন্ডিকেট। বড়ালনদী রক্ষা আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের দাবী ছিল- ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভেকু ও মাটি পরিবহন য়ান, মিনিট্রাক,নছিমন,করিমন জব্দ এবং এ অবৈধ কাজ জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শাস্তি কার্যকর করার দাবী জানান। উক্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে বড়াল,গুমানী এবং নিমাইচড়া খাল বা নদী থেকে অবৈধভাবে মাটিকাটার বিষয়ে একাধিক আবেদন ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু
কোন পদক্ষেপ ই দেখা যাচ্ছে না। এতে ঊক্ত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সংগঠনটি খুব শীঘ্রই কঠোর আন্দোলনে যেতে পারে। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং অবিলম্বে তদন্তপূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।