চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা,
তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালীসহ চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। কড়া রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাকাল জনজীবন। একটানা কয়েক দিন তীব্র দাবদাহে উপজেলা হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, আমাশয়, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনডোর না থাকায় রোগীরা পরেছে ভোগান্তিতে ৷ তাদের যেতে হচ্ছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর অথবা টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ৷ প্রতিদিনই হাসপাতালে বাড়ছে গরম-জনিত রোগীর সংখ্যা। রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
এদিকে অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। কাজের তাগিদে বাইরে বেরিয়ে তীব্র গরমে অসহ্য কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেই ঘর ঠাণ্ডা রাখতে টিনের চালে পানি ছিটাচ্ছেন। এছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ইরি-বোরো ধান চিটে হয়ে পুড়ে যাচ্ছে। আমের গুটি শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে !
২৯ ও ৩০ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এবছরে সব চেয়ে বেশি ৷ প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ২২৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ৩০ জন।
চৌহালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ আসিফ আহম্মেদ বলেন,‘গরম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ছে। গত সাত দিনে প্রায় ১ হাজার ৪৫০ জনেরও বেশি রোগী জরুরী ও বহির্বিভাগে গরমজনিত রোগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইনডোর না থাকায় রোগীদের পাঠানো হচ্ছে পার্শবর্তী উপজেলা নাগরপুর, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল ও টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৷ একই সঙ্গে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত স্টাফদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এ সময়ে মেডিকেল অফিসার পরামর্শ হিসেবে এই চিকিৎসক আসিফ আহমেদ
বলেন,‘তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠাণ্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে-লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এ সময় তাপ এড়িয়ে ঠাণ্ডা স্থানে থাকতে হবে।’ বিশেষ করে ইনডোর না থাকায় এলাকার রোগীদের কষ্ট পাহাড় সমান, সমাধানের লক্ষ নিজস্ব জমি ও ভবন।