স্টাফ রিপোর্টার:
বহু আলোচনা ও সমালোচনার পর এবার কথিত শ্রমিক সর্দার মহিদুল ইসলামকে হটিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আমান গ্রুপের সিমেন্ট ও ফিড মিলে লেবার এবং ট্রান্সপোর্টের লোড-আনলোডের দায়িত্ব পেলেন আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি নেতা আব্দুল আলীম সরকার।
জানা গেছে, পাবনার চরমপন্থি আত্মসমর্পণকারী নেতা মো: আব্দুল আলীম সরকার গত ২৮ মে ২০২৪ইং তারিখে আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান বরাবর কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করেন। উক্ত আবেদনে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মাননীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি সুপারিশ করেন। আব্দুল আলীম সরকার তার আবেদনে উল্লেখ করেন যে, তিনি পাবনার আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি নেতা, যার স্মারক নং- ৪০.০০.০০০০.০৭৫.১০.০০৫.২০১৯ (অংশ-১) ৭০ তারিখ: ৩০ জানুয়রি ২০২২ইং। তিনিসহ আত্মসমর্পণকারী তার লোকদের নিয়ে সাধারণভাবে জীবন যাপন করতে মানবিক বিবেচনায় তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ চান। যার পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক বিবেচনায় আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান তার আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করেন।এব্যাপারে আমান গ্রুপের ডিজিএম সালাউদ্দিন বলেন, আব্দুল আলীম সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় চেয়ারম্যান তাদের কাজের অনুমতি প্রদান করেছেন, আজ থেকে কাজ শুরু করেছেন।এদিকে কথিত শ্রমিক সর্দার মহিদুল ইসলামের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট বিদায় নেওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ন্যায্য মজুরি পাওয়ার আশায় শ্রমিকদের বুকে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য: দেশের সুনামধন্য এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ৩১ মার্চ ২০২৪ইং তারিখে শ্রমিক সর্দার ওয়াহিদুল আলম খান (লিমন) সহ বহু শ্রমিকদের বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্তৃক বহিরাগত ব্যক্তি কথিত শ্রমিক সর্দার মহিদুল ইসলামকে ট্রান্সপোর্টার ও শ্রমিক সর্দারের দায়িত্ব দিয়ে তার মাধ্যমে পরিবহণ চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরির বড় অংশ কর্তন করে উক্ত অর্থ তারা আত্মসাৎ করছে বলে শ্রমিকরা অভিযোগ তুলেন। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করতে গেলে ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তাদের নির্যাতন করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে কথিত শ্রমিক সর্দার মহিদুল ইসলাম প্রকৃত পক্ষে কোন শ্রমিক নয় বা তার কোন শ্রমিক কার্ড বা ট্রান্সপোর্ট লাইসেন্স নেই। উক্ত প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তার মাধ্যমে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে মাল খালাসসহ চাঁদবাজী ও শ্রমিকদের মুজুরি আত্মসাৎ এবং প্রকৃত শ্রমিকদের ছাটাই ও ন্যায্য মজুরি না দেওয়ায় অভিযোগ উঠে। বর্তমানের তাকে বাদ দিয়ে নতুন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়ায় শ্রমিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কিছু পরিবর্তন কারো কাছে কষ্টদায়ক হলেও এটা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ ও সচেতন মহল।