বিপ্লব কুমার দাস শাওন। নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলাদেশ:
ফরিদপুরে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত নিয়ে দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সংগঠনটির নেতারা।
নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ২ এমপিকে অভিযুক্ত করে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তারা। অভিযুক্তরা হলেন: স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে আজাদ (আব্দুল কাদের আজাদ) ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান। সংগঠনটির সভাপতি জুবায়ের জাকির বলেন, এমপিদের ডিও লেটারের মাধ্যমে আমাদের
নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন বন্ধ করার জন্য পেছন থেকে তারাই সব কলকাঠি নাড়িয়েছেন। সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তারা জনপ্রতিনিধি হয়েও জনগণের অকল্যাণ করেছেন, তাদের বিচারের দাবি জানাই।
ওই দুই এমপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের যদি কোনো প্রার্থী থাকে, কোনো রাজনীতি থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে বসুন। না হয় দয়া করে নোংরা খেলা বন্ধ করুন। আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেন। আপনারা আইন প্রণেতা হয়েও আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন।
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান বলেন, ‘নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না এবং আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং আমি নিজেই নির্বাচন সুষ্ঠু করার নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তারা কি কারণে অভিযোগ তুলেছেন আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, তারা নিজেরাই নির্বাচন বন্ধ করার প্রক্রিয়া করে থাকতে পারেন বলে আমি মনে করি। কারণ এর আগে যখন নির্বাচন বন্ধ হয়েছিল, তখন সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জড়িত ছিল।
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এর আগে দুপুরে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের দ্বিতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ স্বাক্ষরিত নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়। আদেশে দেখা যায়, মাহাবুব উদ্দিন মোল্যা নামে এক ব্যক্তি শ্রম আদালতে নির্বাচন বন্ধের জন্য মামলা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেয়া হয়।
নির্বাচন স্থগিতের খবরে বিকেল ৩টার দিকে গোয়ালচামটস্থ নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং সড়কের ওপর বাস আড়াআড়ি রেখে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় শহরের অভ্যন্তরীণ যানবাহন এবং দূরপাল্লার সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ এসে শহরের অভ্যন্তরীণ যান চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।