শাহাদত হোসেন:
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পথ সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ আগষ্ট) সকাল ৭ টায় উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল রোড গোলচত্বর এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতের হাটিকুমরুল শাখার আমির আব্দুল বাকি আল হাদি এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে ফুলেল শুভেচছা জানান দলের নেতাকর্মীরা৷উক্ত সময় বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনুর আলম,সলঙ্গা থানা সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট ছদরুল ইসলাম,সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাস্সিরিন সিরাজগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা রাকিবুল ইসলাম সিরাজী প্রমূখ৷
বক্তব্যের শুরুতেই জমায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,গত ১৫ বছর স্বৈরাচার হাসিনা সরকার আমাকে উল্লাপাড়া-সলঙ্গার মানুষের কাছে আসতে দেয়নি। আজকের এই হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশে বলতে চাই, ছাত্রজনতার প্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনার স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়েছে। যেভাবে প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে,ঠিক একইভাবে উল্লাপাড়া-সলঙ্গাকে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ মুক্ত করা হবে, ইনশাল্লাহ। এছাড়া হাসিনার পতনের পর দেশে সাম্প্রদায়িকতার দাগ লাগানোর চেস্টা হয়েছিল। কিন্তু সারাদেশে জামায়াত-শিবির হিন্দুদের মন্দির রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিয়েছে। থানা পাহারার দায়িত্বও পালন করেছে আমাদের নেতারা। ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান এসময় বানভাসী মানুষের পাশে দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ এবং ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটি সুন্দর সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে চাই।কোনো দুর্বলের ওপর জালিমের অত্যাচার সহ্য করতে দেওয়া হবে না৷ দুর্নীতিবাজদের সমাজের সাধারণ মানুষের সম্পদ লুণ্ঠন করতে দেওয়া হবে না। কোর্ট,কাচারি ও আদালতকে দলীয় কার্যালয় করতে দেওয়া হবে না। সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আপাদত বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকার আহ্বানও জানান তিনি।