আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলকোচাতে ছাত্র-জনতার মিছিলের উপর হামলার ঘটনায় বাগবাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহ আলী সহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪৫ জনকে আসামী করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আহতদের স্বজনরা। রোববার বেলা ১১টার দিকে শহরের মাড়োয়ারী পট্রি সড়কে একটি ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন, বাগবাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহ আলী, বাগবাটী ইউনিয়নের ফুলকোচা গ্রামের সাহেব আলী, ওয়াব মন্ডল, মোরশেদ মন্ডল, আব্দুল কাদের, ইয়াসিন, হায়দার আলী, সাইফুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, আব্দুল আজিজ, মাসুম, মাসুদ, সেলিম, আব্দুল মান্নান, ইসমাইল হোসেন, নাঈম, সাদেক আলী, শাকিল, সেলিম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাসান আল বান্না বলেন, আমার বড় ভাই ফিরোজ সরকার ও ভাতিজা সিয়াম সরকার সহ আরো তিন জন গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসুচিতে অংশ নেয়। তারা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সিরাজগঞ্জ-কাজীপুর সড়কের বেজগাতী মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ফুলকোচা স্কুলের দিকে যাওয়ার সময় ২নং বাগবাটী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহ আলী বাড়ির সামনে পৌছলে হামলা চালানো হয়। আওয়ামীলীগ নেতা শাহ আলীর নেতৃত্বে হামলাকারীরা গরু জবাই করা ধারালো ছুরি, চাকু, হকিস্টিক, লোহার পাইপ, কাঠের লাঠি নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ছাত্র-জনতার উপর হামলা করে। হামলায় সিয়াম, ফিরোজ, আতিকুল, আব্দুল্লাহ, ইব্রাহীম, গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। গুরুতর অবস্থায় আব্দুল্লাহকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফিরোজ সরকারকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
হামলার ঘটনায় হাসান আল বান্না, এন্তাজ আলী ও নুর নবী বাদী হয়ে গত ২১ আগষ্ট সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদীরা উপস্থিত ছিলেন।