মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত উপলক্ষে রাজশাহী নগরীতে অধিকারের র্যালী করেছে। রাজশাহী নগরীতে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপি নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের ফিরে পেতে আর কত অপেক্ষা করতে হবে?” এমন প্রশ্নই আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচিতে আসা হারানো মানুষগুলোর স্বজনদের। বাবার জন্য কাঁদছে সন্তান, সন্তানের জন্য কাঁদছে মা। স্বামীর জন্য স্ত্রী কাঁদছে, ভাইয়ের জন্য ভাই।
নিখোঁজ মানুষগুলোর জন্য পরিবারের সদস্যদের শুধু কান্না আর কান্না। কথিত আয়নাঘর বা বন্দিশালার সঙ্গে জড়িত মানবাধিকার লঙ্ঘণকারীদের মানবতাবিরোধী আ আইনে বিচার করতে হবে এবং তাদেরকে কোন প্রকার দায় মুক্তি দেয়া যাবে না। গুমসহ সকল মানবাধিকার লঙ্ঘণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে দেশের শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকারের এবং মায়ের ডাকের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অধিকার’র রাজশাহীর সমন্বয়ক সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খানের পরিচালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী সাংবাকি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ডাঃ নাজিব ওয়াদুদ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও নয়া দিগন্তের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আব্দুল আউয়াল, স্টুডেন্ট রইটস এ্যাসেসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা সাধারণ সম্পাদক ও বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মানবাধিকার কর্মী সাংবদিক রাসেদ রাজন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মানবাধিকার কর্মী মেহেদী সজিব, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট রাইটস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মানবাধিকার কর্মী ফহিম রেজা, রাজশাহী কোর্টের আইনজীবি ও মানবাধিকার কর্মী এ্যাডভোটেক নিজাম উদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ মোহাম্মদ কাউছারী, গুমের শিকার হয়ে ফিরে আসা শাইরুল ইসলাম, মানবাধিকার সংগঠন ।
মানববন্ধন শেষে নগরীর গুরুত্ব সড়কে একটি র্যালি করে মানবাধিকার কর্মীরা। বক্তারা আরও বলেন, গুম হচ্ছে একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা। গুমের আতঙ্ক দেশের সর্বত্র পরিব্যাপ্ত। দুঃশাসন থেকে উৎপন্ন হয় গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো মানবতাবিরোধী হিংস্রতা। ভবিষ্যতেও এ ধারা বয়ে চললে বাংলাদেশ অরাজকতার ঘন অন্ধকারে ডুবে যাবে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।