২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় ভোর ৫:৫০ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

জগন্নাথপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর আছে মানুষ নেই, একাদিক ঘরে ঝুলছে তালা 

প্রতিবেদক
joysagortv
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪ ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ

মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর থেকে :

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোকামপাড়া   আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বেশীর ভাগেই ঝুলছে তালা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের মতো মোকামপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু ঘরের চাবি ও কাগজপত্র নেওয়ার পর অনেক  পরিবারের লোকজন তাদের ঘরে ওঠেননি। যারা উঠেছিলেন কিছুদিন থাকার পর তারা চলে গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, এখানে নানা সমস্যায় ঘরে থাকছেন না ভূমিহীনরা। প্রকল্পে মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকলেও রয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ, যে কারণে ঝুলছে তালা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘর বরাদ্দ দেওয়ার সময় সঠিক লোকদের দেওয়া হয়নি। এ এলাকার অনেক ভূমিহীন পরিবার ঘর পাননি। অথচ ইউনিয়নের দুরবর্তী অন্যান্য ওয়ার্ডের ভূমিহীনদের ঘর না দিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের লোকজনদের। স্থানীয় যে কজনকে দেওয়া হয়েছে তারাও আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাই তারা এসব ঘরে থাকছেন না। শুধু ঘরের মালিকানা পেতে বরাদ্দ নিয়েছিলেন।

সরেজমিন দেখা যায়, একই পরিবারের তিনজনকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক পরিবারের লোকজন অন্য রাষ্ট্রে অথাৎ প্রবাসে আছেন। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘরগুলোর সামনে সামান্য বৃষ্টি হলে কাদায় ভরে যায় যার ফলে ঘর থেকে আঙ্গিনায় নামা যায়না। বারান্দায় গরু, ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে, রয়েছে খড়কুটোর বিশাল স্তূপ। অনেক দরজা-জানালায় মরিচা ধরেছে।

আশ্রয়ণের একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রকল্পের অনেকেরই বাড়ি ঘর আছে। বাড়ি ঘর থাকার কারনে ঘর বুঝে পাওয়ার পর  একদিনও এখানে বসবাস করেনি। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঘরে তালা ঝুলছে।

কিছু ঘরের মালিক আছে যদি কোন সরকারি লোক আসার খবর পায় তখন এসে ঘর পরিস্কার করে ঘর রক্ষার জন্য ঘরে বসে থাকে। সরকারি লোকজন আইসা চলে গেলে তারা তাদের বাড়িতে চলে যায়।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছে তাদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে জানতে চাইলে এই প্রকল্পের একাধিক  বাসিন্দা জানান, শেখ হাসিনা আমাদের জায়গা দিছে, ঘর দিছে। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই করে দিছে। এতে আমরা খুবই উপকার পাইছি। কিন্তু বড় সমস্যা হইলো একেবারে নিচু জায়গায় এই প্রকল্পের ঘর হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলে কাদার জন্য বাচ্চারা হাটতে পারেনা। সামান্য পানি বৃদ্ধি পেলে ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে যায়।

এলাকার সচেতন মহলের দাবী একটাই যারা ঘরে উঠেননি তাদের নাম বাতিল করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেম্বার ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে প্রসাশনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের দিয়ে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে পুনরায় ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়ার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - সিরাজগঞ্জ নিউজ