শাহাদত হোসেন, সিরাজগঞ্জ অফিস
জন্মের ২৮ দিন পড়ে মুনিয়ার হার্টে দু’টা ছিদ্র দেখা দেয় । দ্রুত সময়ের মধ্যে ওপেন হার্ট সার্জারি না করলে বড় ধরনের ক্ষতি আশঙ্কা এমনকি সময় মত চিকিৎসা না করালে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে, যথাসময়ে উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে শিশু মুনিয়া। শিশুটিকে প্রথমে বগুড়া ইবনে সিনায়, পারে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: নুরজাহান ফাতেমা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ওপেন হার্ট সার্জারি করতে ৭ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। শিশু মুনিয়ার বাবা পেশায় একজন বাউল শিল্পী । তার পক্ষে ৭ লক্ষ টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়,তাই বাবা-মায়ের চোখের পানি ফেলা ছাড়া ছোট্ট মেয়ের জন্য আর কিছুই করার নেই। ২৮ দিন বয়সী শিশুকন্যা মুনিয়া খাতুন,সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের শিমলা খন্দকার পাড়া আদর্শ গ্রামের ইব্রাহিম আকন্দ ও আশা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান সে।
মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আকুতি জানিয়ে মা আশা খাতুন বলেন, ‘কোনো মা কি চায় তার সন্তান মারা যাক? অথচ দিনে দিনে আমার মেয়ে বিনা চিকিৎসায় নীরবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে! কোনো মা কী সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারে? আপনারা আমার মেয়েকে বাঁচান।
মুনিয়ার বাবা ইব্রাহিম আকন্দ জানান, ‘জন্মের দুই সপ্তাহ পর থেকেই টেনে টেনে নিঃশ্বাস নেয়, এর মত অবস্থায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক দ্রুত অপারেশন করার কথা বলেছেন। অপারেশনের খরচ লাগবে ৭লাখ টাকা। আমি তো বাউল গান করি থাকি সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে আমার পক্ষে কি এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব।তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে মেয়েকে বাঁচাতে সাহায্য চাচ্ছি ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি। আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় বাঁচতে পারে একটি জীবন।’
সাহায্য পাঠাতে : শিশুর বাবা ইব্রাহিম নগদ০১৯৩৮০৮৯১০৫ পার্সোনাল বিকাশ ০১৭১৭৯৪২০৩৪