১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১০:০০ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

বহুলী নিয়ামতপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল আজিজ’র পুত্র আসাদুজ্জামান কে বঞ্চিত করে ওয়ারিশিয়ান সনদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
joysagortv
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪ ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রায় ৪৫ বছর পূর্বে কোন এক জটিলতার কারণে মা-বাবার দ্বন্দ্বে দুইজনই বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। ৩ বছরের শিশুটিকে মা, তার বাপের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাবা পুনরায় ছোট্ট শিশুটিকে ৭ বছর পরে ঘরে ফিরে আনে। ইতিমধ্যে বাবা দ্বিতীয় বিবাহে বন্ধনে ঘর সংসার শুরু করে। ১ম পক্ষে ১ সন্তান ও দ্বিতীয় বিবাহে ৫ সন্তানের জনক দীর্ঘদিন ধরে ৬সন্তানকেই নিয়েই সুখের সংসার করতে থাকে। ইতিমধ্যে বয়সের ভারে বাবা মারা যাওয়ায় দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা ১ম পক্ষের সন্তানকে পিতৃ পরিচয় দিতে নারাজ। অপরদিকে বাবা-মায়ের কাবিননামা, পিতা কর্তৃক সন্তানের নামে জমি ক্রয়ে পিতার নাম, ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র, বিগত চেয়ারম্যানবৃন্দরা চারিত্রিক সনদ ও জন্ম সনদে পিতার নাম থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বার ওয়ারিশিয়ান সনদে আসাদুজ্জামান কে বঞ্চিত করে ওয়ারিশায়ান  দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। পিতৃ পরিচয়ে ওয়ারিশিয়ান সনদ পেতে দুই চাচা, ফুফু, খালাতো ভাই, চাচাতো ভাই ও এলাকাবাসীর শত শত নারী পুরুষদের দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বহুলী ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বহুলী ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর পুত্র মুক্তিযোদ্ধা এসএস আব্দুল আজিজ ১৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ইং তারিখে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার রাজারামপুর গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের মেয়ে জাহানারা বেগম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহে বন্ধনের পরে স্বপন নামে এক সন্তানের জনক হন আব্দুল আজিজ। ৪ বছর বয়সে আব্দুল আজিজ এর পুত্র স্বপন মারা যান। কয়েক বছর পর আবার আজিজ ও জাহানারা দম্পত্তি আরেকটি পুত্র সন্তানের জনক হন। তার নাম রাখেন এসএম আসাদুজ্জামান। আসাদুজ্জামানের বয়স ৩ বছর। আব্দুল আজিজ ও জাহানারা দম্পত্তির মধ্যে কোলাহলের জের ধরে জাহানারা বেগম আইনী প্রক্রিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ করে ৩ বছরের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জে চলে যান। আসাদুজ্জামানের বয়স ৭ বছর হলে আ: আজিজ ও তার সহোদর ভাই আব্দুল কুদ্দুস চাপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে আসাদুজ্জামানকে নিয়ে আসে। এদিকে আব্দুল আজিজ দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ করায় তার ঘরে সন্তান আসে। আব্দুল আজিজ এর ১ম পক্ষের সন্তান সহ দ্বিতীয় পক্ষের ৫ সন্তান বড় হতে থাকে। আব্দুল আজিজ আর এখন নেই। ২য় পক্ষের ৫ সন্তানেরা ১ম পক্ষের সন্তানকে পিতৃপরিচয় দিতে নারাজ। ২য় পক্ষের সন্তানেরা ১ম পক্ষের সন্তানকে ‘দত্তক’ এনেছে বলে অভিযোগ তোলেন।
অপর দিকে আব্দুল আজিজ- জাহানারা বেগমের কাবিননামা, পিতা কর্তৃক সন্তানের নামে জমি ক্রয়ে আব্দুল আজিজ নাম, ২০০৭ সালে জাতীয় পরিচয়পপত্রে পিতা হিসেবে আব্দুল আজিজ এর নাম, বিগত চেয়ারম্যানবৃন্দরা চারিত্রিক সনদে পিতা হিসেবে আব্দুল আজিজ এর নাম,  জন্ম সনদে পিতার নাম হিসেবে আব্দুল আজিজের নাম থাকা সত্ত্বেও বহুলী  ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন ও ওয়ার্ড মেম্বার আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে ওয়ারিশিয়ান সনদ না দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪)ইং তারিখে বহুলী ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে বহুলী-শিয়ালকোল রোডে ওয়ারিশিয়ান সনদে আসাদুজ্জামান কে বঞ্জিত করে ওয়ারিশিয়ান দেওয়ার অভিযোগে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে।
নিয়ামতপুর গ্রামের মুরুব্বি আব্দুল মোন্নাফ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ সহোদর ভাই, আব্দুল কুদ্দুস, আ: হামিদ, সহোদর বোন হাসিনা, নুরজাহান, ভাতিজা আব্দুল খালেক, আলতাব হোসেন, এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে প্রবীন মুব্বি জাফর আলী, জামাত আলী সেখ, সিদ্দিুক রহমান দুলাল মোল্লা।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ এর সহোদর ভাই আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মরহুম আব্দুল আজিজ আমার বড় ভাই। আমি বড় ভাই আজিজ ও জাহানারা বেগমের বিয়েতে ছিলাম। আজিজ ভাইয়ের ১ম সন্তান স্বপন মারা ৩ বছরে মারা গেছে। তারপর আসাদুজ্জামান জন্মগ্রহণ করে। কোন এক কারণে আজিজ ভাই ও জাহানারা ভাবীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আমার ভাতিজা আসাদুজ্জামান আমার বড় ভাই আজিজ এর ঔরসজাত সন্তান। সম্পত্তি লোভে আজিজ ভাইয়ের দ্বিতীয় পক্ষের ৫ সন্তানরা ওয়ারিশিয়ান সনদ নিতে বাঁধা গ্রস্ত করছে।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন সেখ বলেন, আজিজ আমাকে খুবই মান্য করত। আমার মধ্যস্থতায় আজিজ ও জাহানারা কে বিয়ে দিয়েছি। আজিজ-জাহানারা’র দম্পত্তির দুইজন ছেলে সন্তান হয়েছিল। পরবর্তীতে যেকোন কারণে আজিজ-জাহানারা দম্পত্তি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এব্যাপারে বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য  আলমকে মুঠো ফোনে কল করা হলে  তিনি একটি শালিসী বিচার করছে বলে মুঠো  ফোন কেটে দেন।
এবিষয়ে বহুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন সেখ বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ এর আসাদুজ্জামানকে দত্তক এনেছে মর্মে উল্লেখ করে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানেরা অভিযোগ দেওয়ার কারণে ওয়ারিশিয়ান সনদ দেওয়া হচ্ছে না। আইনী জটিলতা নিরসন হলে অবশ্যই আসাদুজ্জামানকে ওয়ারিশিয়ান সনদ দেওয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - সিরাজগঞ্জ নিউজ