মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রথিনিধি:
জগন্নাথপুর কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর এলাকায় খালের ওপর নির্মাণের বেশ কয়েক বছর পার হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই এই সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে হরহামেশাই পার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহন। সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কথা বার বার উপজেলা প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন কে বলার পরও টনক নড়ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জগদীশপুরের ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুতে ছিল না সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ঝুঁকিপূর্ণ লেখা কোনো সাইনবোর্ড।
সরেজমিনে জগদীশপুর এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ঘুরে দেখা যায়, সেতুটি যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। সেতুটির মাঝখানের অংশ নীচের দিকে দেবে যাওয়ার পাশাপাশি দুই দিকের রেলিং ভেঙ্গে গিয়েছে ও দুই পাশের এপ্রোচের মাটি সরে যাওয়ায় যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষ চলাচলেই রয়েছে বড় ধরনের ঝুঁকি। এরপরও বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এসব সেতু দিয়েই পার হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন ও সাধারণ মানুষ।
জগন্নাথপুর উপজেলার ১ নং কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর বড় খাল নামক এলাকার সেতুটি প্রায় দুই বছর ধরে মাঝখানের অংশ নীচের দিকে ধাবিত হয়ে ভেঙে পড়ার আশংকাজনক অবস্থায় আছে। ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এটিই একমাত্র সংযোগ সেতু। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডির অধীনে নির্মিত হওয়া এ সেতুটি পারাপার হতে ভয় পান স্থানীয়রা। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী হাজারো মনুষ পার হয় এ সেতুটি দিয়ে।
জগন্নাথপুর উপজেলার জগদীশপুর বড় খাল নামক এলাকার ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পার হয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজে ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা।
শ্রীধরপাশা গ্রামের মিলন মিয়া বলেন, এই সেতুটি প্রায় দুই বছর ধরেই ভাঙা অবস্থায় আছে। আমাদের গ্রামের ছোট, বড় সবাই এই সেতু পার হয়েই স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাসহ প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াত করেন। দিন-রাত সবসময়ই আমাদের এই সেতু পার হতে হয়। এই সেতু দিয়ে জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়।এখন সেতুটি যদি সংস্কার অথবা নতুন করে নির্মাণ করা হয় তাহলে আমাদের উপকার হয়।
ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতুটির বিষয়ে স্থনীয়রা বলেন, বালু পাথর রড সিমেন্টের তৈরি সেতুটির মাঝের অংশ নীচের দিকে ধাবিত হয়ে মাঝখানের জয়েন্ট ছুটে যাইতেছে এবং দুই দিকের সাইডের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। এ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কেউই সেতু সংস্কারে নজর দিচ্ছে না। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি সেতুটি ভেঙে ফেলুক না হয় ভালোভাবে নির্মাণ করুক।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়ে জগন্নাথপুর এলজিইডির প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, সেতুটির নকশা হয়ে গেছে, টেন্ডারের জন্য আছে, শতর্কীকরন সাইনবোর্ড সটানোর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকবল না থকায় আমরা কাজ করতে পারছিনা।