‘আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জমিয়ত সবসময় গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে সোচ্চার ছিল, আগামীতেও থাকবে। সুন্দর ও ভারসাম্যপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।’ -বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সোমবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরের বাটার মোড় রুবেল চত্বরে উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘গত ১৭ বছর যাবৎ বিগত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশকে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছিল। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জমিয়ত সবসময় প্রতিবাদ করেছে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে হাজার হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিগত জালিম সরকার তারাবীহ নামাজরত অবস্থায় আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করেছিল। কারাগারে জায়গা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। আল্লাহর রহমতে আমরা জালিম মুক্ত বাংলাদেশ অর্জন করেছি।’
জমিয়ত মহাসচিব আরও বলেন, ‘২০২৪-এর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে শাহবাগে আমরাও ছিলাম। এতে আমাদের হুমকি-ধমকি সহ ক্ষমতাচ্যুত দলের তাবেদারি করার কথা আহ্বান জানিয়েছিল। আমরা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলাম, আমরা উত্তরবঙ্গের সন্তান। রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের মতো বুক পেতে দিয়ে স্বৈরাচারের গুলিকে আলিঙ্গন করার সাহস রাখি। তবুও জালিমের কাছে মাথানত করবো না।’
নীলফামারী জেলা জমিয়তের সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসেন রিয়াজীর সভাপতিত্বে ও রংপুর বিভাগীয় যুব জমিয়তের সদস্য সচিব নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় গণ-সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যূগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জল হক আজীজ, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাসীরুদ্দীন খান, ডোমার উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ সহ জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।