মোঃ হামজা শেখ, রাজবাড়ী
দির্ঘ ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ নেই রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতে চরম ভোগান্তিতে রোগীরা। মোমবাতি আর মোবাইলে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। বিপাকে নার্স ও চিকিৎসকরা। বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কাজ করছে উপজেলা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
জানা যায়, গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে বজ্রপাতে হাসপাতালের ট্রান্সফরমার টি নষ্ট হয়ে যায়। তখন থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা। শুধু রবি ও স্বজনরাই নয়, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা।
আজ মঙ্গলবার রাত ৮ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মোমবাতি জ্বালিয়ে এক হাতে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে এক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা ডা. তানসু সুমী নামের এক চিকিৎসক। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রোগীদের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় এক রোগীর স্বজন মোবাইলের টর্চ লাইট জ্বালিয়ে রেখেছেন। নার্স রোগীকে
সেবা দিচ্ছেন।
এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়া রোগী ও স্বজনরা জানান গকতাল রাত থেকে হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। আমরা খুব অশান্তির মধ্যে রয়েছি। বিকাল থেকে প্রচুর গরম পড়ছে। দ্রুত বিদ্যুতের ব্যাবস্থা না করা হলে রোগীরা এমনিতেই মারা যাবে।
এ সময় একজন নার্স জানান, গতকাল রাতে বর্জপাতে ট্রান্সফর্মটি নষ্ট হয়ে গেছে। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেবা দিতে আমার আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও কিছু করার নেই।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. তানসু সুমী বলেন, গরমে মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছে। আজ রাত বিদ্যুৎ না আসলে আমরা চিকিৎসকরাই অসুস্থ হয়ে পরবো। কাল ডিউটি করবো কি ভাবে? বিদ্যুৎ বিহীন চিকিৎসা দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালের জেনারেটরটি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের কর্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে পানি সংকট সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা একটি ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ পেয়ে যাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রাকিব হাসান বলেন, বর্জপাততে নষ্ট হওয়া ট্রান্সফরমারটি হাসপাতালের নিজস্ব। একটি ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সংযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছি। আশা করছি আজকের মধ্যেই হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে।