১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ১০:২৯ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

বার বার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করতে হবে : ঝিনাইদহে মুফতি ফয়জুল করিম‌ শায়েখে চরমোনাই

প্রতিবেদক
joysagortv
অক্টোবর ১৭, ২০২৪ ৯:০০ অপরাহ্ণ

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, বার বার নেতা পরিবর্তন না করে নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন করতে হবে। তা না হলে আমাদের বার বার রক্ত দিতে হবে। নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে কখনো শান্তি আসতে পারে না। তিনি বলেন, দেশ স্বধীনের ৫৩ বছর এ দেশের মানুষ বহুবার রক্ত দিয়েছে, আন্দোলন করেছে কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দেশে ন্যায় বিচার ও ইনসাফ কায়েম হয়নি। নিজে পরিবর্তন হয়ে, দেশ পরিবর্তন করতে হবে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যায় জড়িতদের বিচার, হতাহতদের ক্ষতি পূরণ, দুর্নীতিবাজদের বিচার ও নির্বাচন কমিশন পুণর্গঠনসহ ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই গণসমাবেশের আয়োজন করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এইচ এম মোমতাজুল করীমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আহমদ আব্দুল জলিল, ঝিনাইদহ জেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দীন, মুহাম্মদ রায়হান উদ্দীন, মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, মাওলানা নিজাম উদ্দীন মুন্সি মাওলানা মিরাজ হুসাইন, মুফতি নাজির আহম্মেদ, মুফতি মুহাম্মাদ আলী হুসাইন, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুহাম্মদ ফারুক হোসেন ও এইচ এম নাঈম মাহমুদ বক্তব্য রাখেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, এই ভুখন্ড মুসলমানরা শাসন করেছে। কিন্তু কিছু মুনাফেকদের কারণে আমরা পরাজিত হয়েছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সে সময় দিল্লীর ষড়যন্ত্রে ৮০ হাজার মাদ্রাসা ধ্বংস করা হয়েছে। আলেমদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। হাজার হাজার আলেম হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন বৃটিশরা যখন দিল্লী দখল করেছিল, তখন ওলী আওলিয়ারা আন্দোলন করে তাদের এই ভুখন্ড থেকে তাদের বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু মুসলমানরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান পায়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হিন্দু জমিদাররা বিশেষ করে রবি ঠাকুর চিঠি লিখে ৪১ বার বাঁধা দিয়েছিল। তারপরও নবাব স্যার সলিমুল্লাহ (রঃ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল। যখন রক্ত দিয়ে মুসলমানরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল আর সেই মুসলমানদেরকে বলা হয় অসাম্প্রদায়িক। তিনি বলেন এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে মুসলমানরা রক্ত দিয়ে অবদান রেখেছে। তাই এই দেশ মুসলমানদের হলেও অধিকার সবার। তিনি বলেন, পাকিস্তান গঠনের মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। সেই পাকিস্তান গঠনেও নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলমানরা। তিনি বলেন পাকিস্থান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্থানের মানুষ আবারো বৈষম্যের শিকার হতে থাকেন। দেশের মানুষ আবারো যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিকতা, ন্যায় বিচার ও সামাজিক মর্যাদা। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ৭২ সালের সংবিধানে মুলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মতো কুফরি মতবাদ চাপিয়ে দেয় ভারত। ভারতের প্রেসক্রিপশনে সংবিধান লেখা হয়। ফলে দেশের মানুষ সাম্য ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা এই দেশটা লুটপাট করেছে। তার মন্ত্রী, এমপি ও সাধাারণ নেতাকর্মীরা শত নয়, হাজার নয়, লাখ লাখ কোটি টাকার মালিক। যে দেশে শেখ হাসিনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়, পিয়ন হেলিকপ্টারে ঘোরে, ফরিদপুরের ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি পাচার করে, মন্ত্রীরা কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করে, বিদেশে ভূমি মন্ত্রির হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি পাওয়া যায় সেদেশের অর্থনীতির আর কি অবশিষ্ট্য থাকতে পারে ? তিনি বলেন, হাসিনার আমলে যুবলীগ নেতা সিঙ্গাপুরে কেসিনো খেলে ২০০ কোটি টাকা হারে, ১৪ কোটি লাখ টাকা পাচার করা হয়, ৯৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় এটাই কি দেশের মানুষ চেয়েছিল? তিনি বলেন, যারা আ’লীগ করে তাদের জন্য সাত খুন মাফ হবে এটা সাম্যতা হতে পারে না। এ জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। তিনি বলেন আমরা মুসলিমলীগ দেখেছি, আ’লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, বিএনপি দেখেছি। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে দেখিনি। তাই আসুন দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে, ঘুষ দুর্নীতি ও কালো টাকার নির্বাচন বন্ধ করতে হলে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন চাই। তিনি বলেন, দেশে যদি কেউ মডারেট ইসলাম কায়েম করতে চাই, সে বেঈমান হয়ে যাব। দেশে কারো মনগড়া ইসলাম কায়েম করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর দেশব্যাপী যারা লুটপাট, চাঁদাবাজী ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে তাদের প্রত্যাখান করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পরে তিনি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

জগন্নাথপুরে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

উল্লাপাড়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

সিরাজগঞ্জ পৌঁছেছে ১৬৫০টন ভারতীয় পেঁয়াজ । 

বিকল্প পথ না থাকায় ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে সেই কাঠের হাতলওয়ালা ছাতা গুলো

পুঁজিবাজারে এনবিএফআইগুলোর বিনিয়োগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি

পীরগঞ্জে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

দূর্নীতির অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ওএসডি

নড়াইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিদায় সংবর্ধনা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান 

পৌর শহর পাথরঘাটায় বর্জ্য আর পানিবন্দিতে নাকাল,পরিবেশ হুমকিতে