মোঃ সাহাদত হোসেন,স্টাফ রিপোটার্স (দিনাজপুর):
ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সাপ্তাহিক হাটে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস চারা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। ক্রেতারাও না বুঝে কিনছেন নিষিদ্ধ এ গাছ। অপরদিকে নার্সারীগুলোকে এ গাছে চারা উৎপাদনে প্রতিযোগিতা চলছে, দেখার কেউ নেই। উপজেলার ওসমানপুর, ডুগডুগি হাট,রানীগঞ্জ বাজারসহ ঘোড়াঘাট পৌরসভার সাপ্তাহিক হাটের এই গাছ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। নিষিদ্ধ এই গাছের নাম ইউক্যালিপটাস। এভাবে বিক্রি হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগের নেই কোন নজরদারী । গত এক মাসে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার ঘাটে, পুকুরপাড়ে বাড়ীর আশেপাশে খালের ধারসহ পতিত জমিতে অবাধে ব্যাপকহারে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপন করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে উপজেলার অনেক নার্সারী মালিকের এ গাছে চারা সরবরাহ করে থাকেন। জানা যায় ইউক্যালিপটাস গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমানে পানি শোষন করে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ২০০৮ বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ে এক প্রজ্ঞাপনে এ গাছের চারা উৎপাদন নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু দ্রুত বর্ধনশীল ও দাম বেশি পাওয়ার লোভে মানুষজন এই গাছ রোপন করছেন। পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা থেকে আসা ইউক্যালিপটাস গাছের চারা বিক্রেতা ইব্রাহিম বলেন, নিষেজ্ঞার বিষয়ে হামরা কিছু জানি না বাহে,আমাঘরক আজ মানা করলে কাল থেকে বেছমুনা। বৃক্ষ প্রেমিরা বলছেন, নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছে বিষয়ে সরকারী বেসরকারী সকল পর্যায়ের লোকজনকে সচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশের স্বার্থে আমাদের সবার এই গাছ লাগানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলবে এই গাছ। ঘোড়াঘাট সরকারী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক জয়া রানি বলেন, অতিরিক্ত পানি শোষনের কারণে ইউক্যালিপটাসকে পরিবেশের বিরুপ গাছ বলা হয়। এটি পরিবেশের জন্য খুবই ভয়ংস্কর। এই গাছের বিষয়ে প্রন্তিক পর্যায়ে বার্তা না পৌঁছাতে পারলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। এই বিষয়ে মানুষের মাঝে বেশি বেশি সচেতনা বাড়াতে হবে। ঘোড়াঘাট উপজেলার বন কর্মকর্তা ফসিউল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, ডিসি অফিসে মিটিংয়ে নিষেজ্ঞার বিষয়টি একবার শুনে ছিলাম। উপজেলা মাসিক মিটিং এ বিষয়টি তুলে ধরব। উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মাহমুদুল হাসান বলেন, এটি বন ও পরিবেশ দপ্তরের বিষয়। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বন বিভাগ যে কোন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারে। এ বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করব।