২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় বিকাল ৫:৪১ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

ঝিনাইদহে সবজি প্রতি কেজি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদক
joysagortv
অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৭:২৬ অপরাহ্ণ

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার :
গ্রামঞ্চলের পাইকারী বাজারে কৃষকের থেকে সবজি ক্রয়য়ের পর সেই সবজি একই হাটে খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে সবজির পাইকারী বাজার ঘুরে এমনি চিত্র দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎদপাদন কমে গেছে, যার কারনে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। কৃষকদের দাবী অতি বৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশির ভাগ সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। সবজি উৎপাদন করতে সার কিটনাশন খরচ অনেক বেশি। বাজারে কৃষকের ক্ষেত থেকে হাত বদলে ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রয় হওয়ায় ক্ষুদ্ধ ভুক্তভুগিরা। সরোজমিনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজার ঘুরে দেখাযায়, প্রকার ভেদে পাইকারী দামে পটল বিক্রয় হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি কেজি প্রতি বিক্রয় হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পুইশাক মেচড়ী ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা , লাউ প্রকার ভেতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, শশা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ওলকচু ৫০ টাকা, শিম জাত ভেদে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পুইশাক ১৫ আটি, ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং মূলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারী কৃষক বিক্রয় করতে পারছে। একই বাজের কৃষকের থেকে এইসব সবজি কেনার পর খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে পটল ৬০ টাকা, ফুলকপি ৯০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, পুইশাক মেচড়ী ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, বেগুন ১৩০টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, ওলকচু ৬০ টাকা, শিম ১৮০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, মূলা ৭০ টাকা ও পুইশাক আটি ২০ টাকা দরে বিক্রয় করতে দেখা গেছে। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহের এই বাজার থেকে সবজি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমিশনে বা কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা লাভ করেন বলে জানা যায়। ব্যবসায়ী মোঃ আশরাফ মিয়া বলেন, চাহিদার চেয়ে বাজারে সবজি কম। যার কারণে বেশি দাম দিয়ে কৃষকদের থেকে সবজি ক্রয় করতে হচ্ছে। আবার ঝিনাইদহ থেকে সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিতে গেলে গাড়ি খরচ পড়ে যায় অনেক বেশি, সেকারনে লোকাল বাজারের থেকে অন্যসব বাজারে সবজির দাম বেশি। ব্যবসায়ী মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, তিনি চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্চ, দশমাইল ও ঝিনাইদহ জেলার ডাকবাংলা বাজারে কৃষকদের থেকে পাইকারী পটল, কচু, লাউ, ফুলকপি, মূলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্রয় করে থাকেন। সেগুলোকে ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দিয়ে থাকেন। পাইকারী বাজার থেকে যে সবজি কৃষকের থেকে ক্রয় করেন, সেই সব সবজিগুলো তিনি আড়ৎ এ বিক্রয় করেন। সেখান থেকে তাদের কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা করে লাভ করেন, এরমধ্যে আবার খরজের বিষয় থাকে। আড়ৎএ বিক্রয়ের পর সেই সবজি গুলো খুচরা বাজারে বিক্রয়ের জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রয় করেন। এতে ওই আড়ৎদারও লাভ করেন। এভাবে ভোক্তা পর্যায়ে এই সবজি তিন থেকে চার হাত বদলে ভোক্তাদের কাছে পৌছায়। একারনে কৃষকের দামের তুলনাই ভোক্তা বাজারে সবজির দামটা বেশী। ডাকবাংলা বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, তারা সরাসরি বাজারে কৃষদের থেকে সবজি ক্রয় করেন এবং একই বাজারে বিক্রয় করেন। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি প্রথমে ১৫-২০ টাকা লাভ করেন। তবে কোন ভোক্তা সবজি ক্রয় করতে আসলে, তিনি সবজি বেঁচে বেঁচে ক্রয় করেন। কিন্তু তারা কৃষকদের থেকে ঝাপি বা বস্তা ধরেই ক্রয় করে আনেন। সবজিগুলো বিক্রয়ের একপর্যায়ে দেখা যায় শেষের সবজিগুলোর মান কমে যাওয়ায় কম দামে বিক্রয় করা লাগে। তবে এভারেজ ৫-১০ টাকা করে কেজিতে লাভ করেন তারা। খুচরা ব্যবসায়ী বাবলু জানান, বাজার থেকে বেশি দামে সবজি ক্রয় করতে হচ্ছে। তারা কেজি প্রতি সবজি থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ করে থাকে। তবে প্রথমে ক্রেতারা বেঁচে বেঁচে সবজি কেনার পর শেষে গিয়ে আর প্রথমে যে দামে বিক্রয় করা হয় সেই দাম আর থাকে না। তখন আবার আসল দামে সবজি বিক্রয় করতে হয়। ভাতুড়িয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহামান বলেন, বৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত কিছু নষ্ট হয়ে গেছে, মাঠে সবজির উৎপাদন কম। আগাম সবজি চাষে পোকামাকড়ের উপদ্রুপ বেড়ে গেছে, কীটনাশন ও সারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে, যার কারনে সবজির এমন দাম। সবজি উৎপাদন করতে যে পরিমাণ খরচ সেই তুলানাই বর্তমান বাজার ঠিকই আছে। বেড়াদী গ্রামের কৃষক গরিফুর জানান, অতি বৃষ্টির কারনে সব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে আবার সবজি লাগানোর জন্য চারা দিবো সেই সময়টুকুও পাওয়া যাচ্ছে না আবার বৃষ্টি হচ্ছে। তবে যতটুকু সবজি আছে সেগুলোকে ভালো ভাবে পরিচর্যা করার কারণে অল্প কিছু সবজি বাজারে বিক্রয় করতে পারছি। আবহাওয়া ভালো হলে নতুন করে সবিজর চাষ করতে হবে। তখন নতুন সবজি বাজারে উঠার পর হয়তো সবজির দাম কমতে পারে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবি বলেন, এবছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলাতে ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। সবজির মধ্যে মূলা, পালংশাক, লালশাক, লাউ, শিম, করলা, পুইশাকসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে এইসব সবজির ক্ষেত বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আবার আগাম সবজি চাষে সার ও কীটনাশক খরচও অনেক বেশি। যার কারনে সবজির বাজার একটু বেশি। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে হয়তো সবজির দাম স্বাভাবিক হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

তাড়াশে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন আজ

সিরাজগঞ্জ ভূমি অফিসে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে মিলছে খারিজ

রাজশাহীর পবায় বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করলেন এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ

দৈনিক জয়সাগর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সোনাখারা ইউপির গোতিথা সরকারি ডেবরা পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মান কাজ বন্ধ

জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে পলাতক আসামী নারীসহ গ্রেফতার ২

কালীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকদের ভ্রমণ ভাতা উত্তলনে অনিয়ম অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আবরার ফাহাদ স্মরণে চাটমোহর  সরকারি কলেজ মৌন মিছিল ও স্মরণ সভা

নড়াইলে বিএনপির শান্তি সমাবেশে জাহাঙ্গীর আলম দলের নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ

চাটমোহরে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত