কাজী নূরনবীg স্টাফ রিপোর্টারঃ
শনিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসকের আয়োজনে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম,মেজর মাহমুদ ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, ও নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিন শিষ সহ ১১ টি উপজেলার সকল নির্বাহী অফিসার গন। আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়করা,রিয়াদুস সালেহীন, আন্দোলনে আহত হওয়া নাহিদ হাসান,ও শহীদ শারবনের ভাই মুস্তাফিজুর রহমান। নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বক্তবে বলেন,সর্বদায় আমারা আন্দোলনে আহত ছাত্র, জনতার পাশে ছিলাম এখন ও আছি এবং যারা আহত হয়েছেন অনেকের নাম সরকারের তালিকায় নেই তাদের কে আহবান জানাচ্ছি ২৪ তারিখের এর মধ্যে সঠিক তথ্য নিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য । নওগাঁ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম বক্তব্যে বলেন,একজন আহত তার যেই আবেগ সেটা হয়তো আমারা বুঝবোনা, তার যে কষ্ট প্রতিটা মিনিট প্রতিটা সেকেন্ড তার সাথে তার পরিবার কেও সেই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে একই ভাবে আমাদের ও পরিবার আছে। আমরা ও সাধারণ মানুষ তাই কষ্ট টা কিছু টা হলেও আমার বুঝি,। আমাদের এমন কিছু করে যাওয়া উচিত যাতে আন্দোলনে যারা আহত হয়েছে তারা ভবিষ্যত পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা আজকে ওয়াদা করছি সব সময় যে কোন প্রয়োজনে আপনাদের পাশে থাকব, এবং এই আন্দোলনে আহত শহীদ ও যুদ্ধাহদের পরিবার সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। শহীদ আবু সাঈদ,ওয়াসিম, মুগ্ধ সহ ও অনেকে শহীদ হয়েছে, তারা কোনো ব্যক্তি ছিল না তারা ছিল আমাদের আশার প্রদীপ আমাদের দেশ ও জাতির শক্তি, ২০২৪ জুলাই এটা কোনো ব্যক্তির আন্দোলন ছিল না, প্রত্যেকটা শ্রেণী পেশার মানুষের আন্দোলন ছিল। পাশাপাশি পুরো জাতির আত্মনাদ ছিল, ফ্যাসিষ্ট্রের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আমাদের মনে করিয়ে দেয় আহতদের আত্মনাত এবং বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়তে তাদের অবদান আমরা ভুলে গেলে চলবেনা এই শহীদ এর আত্মত্যাগ সবার হৃদয়ে ধারণ করে বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পরে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।