আশরাফুল ইসলাম জয়.
মাত্র ১৫ হাজার টাকা হলেই খোলা আকাশ থেকে মুক্তি পাবে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের চর মালশাপাড়া গ্রা?মের পিঠা বিক্রেতা অঞ্জনা দম্পতি।
দুই যুগ আগেও তার সংসারে ছিল গোয়াল ভরা গরু গোলা ভরা ধান। সর্বনাশা যমুনা নদীর করাল গ্রাসে বয়রাচর গ্রাম?টি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ায় সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের চর মালশাপাড়া এলাকার ওয়াবদার বাঁধে বসবাস শুরু করেন তি?নি। শুরুতে ছন/খড়ের ঘর থাকলেও পরবর্তীতে আট চালার একটি ছাপড়া ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন পিঠা বিক্রেতা অঞ্জনা দম্পতি। বর্তমা?নে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় তার ঘরটির আসবাবপত্র লুটপাট ও ঘ?রের টিন খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর পর থেকেই দীর্ঘ ৩ মাস যাবত খোলা আকাশের নিচে বসবাস করে আসছে পিঠা বিক্রেতা অঞ্জনা দম্পতি।
পিঠা বিক্রেতা অঞ্জনা খাতুন কান্না জ?রিত কন্ঠে বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আমার ঘরের আসবাবপত্র ও ঘ?রের ?টিন খু?লে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তারপর থেকেই দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ এই বাতাসের মধ্যেই বসবাস করে আসছি। কোন ব্যক্তি যদি আমার ঘরটি মেরামত করে দিত সারা জীবন তার জন্য দোয়া করতাম।
পুঠিয়া বাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন অঞ্জনা দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ওয়াবদার বাঁধে বসবাস করে আসছে খুবই নেহায়েত গরিব পরিবার। তারা ?কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। তারপরেও যখন মারামারি হয় এ গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো ক্ষতির শিকার হয়। আমি বিত্তবানদের আহ্বান করব তার ঘরটি মেরামত করে বসবাসযোগ্য করে দেওয়ার জন্য।