২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ৭:১৫ মিনিট
  1. অপরাধ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আড়াইহাজার
  4. আদালতপাড়া
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আর্কাইভ
  7. ঈদ আড্ডা
  8. ঈদ আনন্দ
  9. কক্সবাজার
  10. কুমিল্লা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুলনা
  14. খেলাধুলা
  15. চট্রগ্রাম
 

প্রতিবন্ধকতা মানুষের সম্ভাবনাকে থামিয়ে দিতে পারে না

প্রতিবেদক
joysagortv
ডিসেম্বর ৮, ২০২৪ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

যাদব চন্দ্র রায়, রংপুর বিভাগীয় ব্যুরো চীফ:
প্রতিবন্ধকতা মানুষের সম্ভাবনাকে থামিয়ে দিতে পারে না। এই সত্যের অনন্য উদাহরণ ড. স্টিফেন হকিং (ঝঃবঢ়যবহ ঐধশিরহম)। তাঁর জীবন আমাদের শেখায় যে ইচ্ছাশক্তি এবং অধ্যবসায় দিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করা সম্ভব।
১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড শহরে জন্ম নেওয়া স্টিফেন হকিং ছিলেন একাধারে মেধাবী এবং উদ্যমী। তরুণ বয়সে তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য বৃত্তি লাভ করেন। কিন্তু তাঁর ২১ বছর বয়সে এক বিরল স্নায়বিক রোগ, অ্যামিয়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (অখঝ), ধরা পড়ে। এই রোগে মাংসপেশি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় এবং একসময় সম্পূর্ণ পক্ষাঘাত ঘটে।
ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তিনি মাত্র দুই থেকে তিন বছর বাঁচবেন। কিন্তু হকিং জীবনকে অন্যভাবে দেখেছিলেন। তিনি শারীরিক সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে তার মেধা এবং জ্ঞানকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন।
হকিংয়ের গবেষণা বিশেষত কৃষ্ণগহ্বর (ইষধপশ ঐড়ষব) এবং মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত কাজ ছিল “হকিং রেডিয়েশন”, যেখানে তিনি দেখিয়েছিলেন যে কৃষ্ণগহ্বর থেকে বিকিরণ হতে পারে। তাঁর গবেষণাগুলো আধুনিক পদার্থবিদ্যার অগ্রগতি সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৮৮ সালে তাঁর লেখা বই “অ ইৎরবভ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ঞরসব” সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানকে সহজ করে তোলে। এই বইটি ১০ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয় এবং ৪০টি ভাষায় অনূদিত হয়।
শারীরিক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করতেন। একটি বিশেষ কম্পিউটার-চালিত কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে তিনি তার চিন্তা প্রকাশ করতেন। তাঁর কম্পিউটার একটি ইন্টারফেসের মাধ্যমে কাজ করত, যেখানে তিনি চোখ বা চোয়ালের নড়াচড়ার মাধ্যমে শব্দ এবং বাক্য তৈরি করতেন।
ড. হকিং তার জীবন এবং কাজের মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনোই মানসিক এবং সৃজনশীল প্রতিভার প্রতিবন্ধকতা নয়। তিনি তার সাফল্যের মাধ্যমে শুধু বিজ্ঞানী সমাজেই নয়, বরং সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষণীয় দিক-
১. ইচ্ছাশক্তি এবং অধ্যবসায়: শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকলেও ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব কিছু জয় করা সম্ভব।
২. প্রযুক্তির ব্যবহার: আধুনিক প্রযুক্তি প্রতিবন্ধীদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি শিখে এবং কাজে লাগিয়ে তারা তাদের সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
৩. নিজের উপর বিশ্বাস: হকিং নিজের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখেছিলেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে যেকোনো সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা সম্ভব।
ড. স্টিফেন হকিংয়ের জীবন একটি অনুপ্রেরণার উৎস। তার মতো অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাদের জীবনকে অর্থবহ করে তুলছেন। এই ধরনের গল্প শুধু তাদেরই সাহস জোগায় না, বরং আমাদের সমাজকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমানাধিকারের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান প্রযুক্তি

আপনার জন্য নির্বাচিত

বেলকুচিতে সন্ত্রাস নৈরাজ্য চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিএনপির গনবিক্ষোভ 

ধর্মমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসে পিস্তলসহ আটক-২

সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ক্লাবের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত। 

কর কমিশনারের কার্যালয়, কর অঞ্চল-১৬ নিয়োগ

নড়াইলে গৃহিনীর সুস্বাদু রান্নার মসলা বস্তায় আদাচাষে সফলতা

গাবতলীর বালিয়াদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্ততিসভা

সিরাজগঞ্জে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত সমুহের বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে যা করবেন

গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ দায়ের

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত