মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ করেই বেড়েছে চুরি। প্রতি রাতেই উপজেলার কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসনের তেমন কোন কার্যকরি পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। যার কারনে আরো বেশী চিন্তিত হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। গত রাতে উপজেলায় ৩টি চুরি সংগঠিত হয়েছে। যার মধ্যে ২টি পৌরসভার মধ্যেই। কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে যশোর রোডে ও কোটচাঁদপুর রোডে এদুটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। যশোর রোডের মেইন বাসষ্ট্যান্ড জামে মসজিদ মার্কেটে বাবলু জেনারেল ষ্টোরের তালা ভেঙে প্রতিবদ্ধী বাবলু রহমানের নগদ প্রায় লক্ষ টাকা নিয়ে যায় এবং কোটচাঁদপুর রোডের বিহারী মোড়ে আড়পাড়া জামে মসজিদের মেইন গেটের তালা ভেঙে মসজিদের ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে গেছে। ওই রাতেই উপজেলার বড় ভাটপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আরিফ হোসেন এর বাড়ি থেকে একটি ষাড় গরু ও একটি বকনা গরু গোয়াল থেকে বের করে বাস্তায় নিয়ে আসার পর তার চাচা টের পেয়ে গেলে চোরেরা গরু গুলো রেখে পালিয়ে যায়। এর আগে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিক বাবুল আক্তারের বাসার নিচ থেকে তার ব্যবহৃত ১০০ সিসি হিরো ব্রান্ডের মোটর সাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। ২ ডিসেম্বর রাত দুটার দিকে দিশারী কাঠগোলা নামক প্রতিষ্ঠানে একদল ডাকাত ডাকাতির চেষ্টা চালাই। এরকম ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। প্রতিবন্ধী দোকানদার বাবলু রহমান জানান, আমি রাত ১১:৩০ মিনিটে দোকান বন্ধ করে বাড়ী চলে যায়। সকালে দোকানে এসে দেখি আমার দোকানের তালা ভাঙে কার্টুনের মধ্যে থাকা প্রায় ১ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে চোর। মেইন ষ্ট্যান্ডের উপর যদি এমন চুরি হয় তাহলে আমরা কিভাবে নিশ্চিন্তে থাকব। কালীগঞ্জ থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুল ইসলাম জানান, আমি নিজে রাতে নিয়মিত টহল দিই। আমাদের জনবল সংকট, আমি সেটা স্যারকে অবহিত করেছি। চুরির ব্যাপারে আমরা সর্বদা সচেষ্ট আছি। চেষ্টা করছি চোর চক্রের সদস্যদের কে আটকাতে। আর গরু চুরি নিয়ে আমি খুব চিন্তিত, এমনিতেই শীতের সময় চোরের উপদ্রব বাড়ে। আমি বিট পুলিশেযারা আছেন তাদেরকে আরো সর্তক থাকতে এবং স্থানীয়দেরকে পালাক্রমে পাহারা দেওয়ার জন্য বলেছি। তাছাড়া চুরির ব্যাপারে গ্রামবাসীকেও সচেতন করার চেষ্টা করছি।