মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার হোসেন।
মানিকগঞ্জে এই সপ্তাহে পটল,শসা,করলা, বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৫ – ৮০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
২দিন আগে বিক্রি হয়েছে আলু ৫৫ টাকা আর আজ শনিবার প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা । পেঁয়াজ বর্তমানে ১১৫-১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৫৫-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে মাছের সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও মাছের দাম কমে নাই। ইলিশ মাছ দিনমজুরদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।
পাংঙ্গাস, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর ও খাসির মাংসের দাম। শনিবার মানিকগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বাজারে এবং বেওতা বাজারে অনেক ক্রেতা শাক সবজি কিনতে আসেন। তারা জানান, দুদিন আগেও বেগুন কিনেছিলেন ৭০ টাকা আজ ৮০ কেজি। এছাড়া ঝিঙে, ঢেঁড়শ, ধুন্দুলের দাম ২-৩ দিনের মধ্যে লাফাতে লাফাতে বেড়ে গেছে। উপায় না পেয়ে অবশেষে দুই আঁটি শাক ২৫ টাকায় ও এক কেজি আলু ৬০ টাকা দিয়ে কিনেছি।
দুদিনের ব্যবধানে এসব সবজি দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।
মাছের বাজারের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন পাঙ্গাস মাছের কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি মোকামের ওপর নির্ভর করে খুচরা বাজারের দাম হয়। বর্তমানে পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কমেছে। তাছাড়া মানিকগঞ্জের বাইরে থেকেও সবজি আসে পাইকারি মোকামে। সেখান থেকে বাড়তি দামে কিনতে হয় বিধায় খুচরা বাজারে তাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
মানিকগঞ্জ ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি বাড়ালে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কিছুটা হলেও সম্ভব হবে। ক্রেতাদের অভিযোগ ভোক্তা অধিকার দপ্তরের সাপ্তাহিক ৩-৪ দিন পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেশি মুনাফা যেন না করতে পারে সেজন্য তদারকি করা প্রয়োজন।
ব্যবসায়ীরা জানান প্রতিদিনই কোনো না কোনো বাজারে তাদের তদারকি থাকে। ব্যবসায়ীরা যেন বেশি মুনাফা না করে সে ব্যাপারে পাইকারি ও খুচরা বাজারে তাদের অভিযান