রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ :
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ, নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন বিশ্বাসঘাতকতা করেছে : মির্জা ফখরুল প্রতীক তালিকায় শাপলা কলি, শাপলাই চায় এনসিপি মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশাল করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে মানিকগঞ্জে প্রশিক্ষণ কর্মশালা সিংগাইর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই -ডা. জাহিদ হোসেন সিরাজগঞ্জে প্রাণিসম্পদের ব্যর্থ প্রকল্পে তিন কোটি টাকার সরঞ্জাম ঝুঁকিতে রায়গঞ্জে জোরকরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল শাহজাদপুরে স্ত্রীর পরকীয়ায় প্রাণ গেল স্বামীর পুলিশের হাতে আটক ঘাতক স্ত্রী তানজিলা

সিরাজগঞ্জে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার কর্মশালা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৫ বার পঠিত

আজিজুর রহমান মুন্না, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জে “নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন” এর আওতায় পলিসি উন্নয়ন ও বিদ্যমান পলিসির প্রয়োগ বিষয়ক মাল্টি-স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও ইফাদের আর্থিক সহযোগিতায়, রুরাল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প (আরএমটিপি)-এর উপ-প্রকল্প বাস্তবায়িত রবিবার (২৬ অক্টোবর-২০২৫) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ,কে এম, আনোয়ারুল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্য যোগদানকৃত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমির হামজাকে এবং আরএমটিপি প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিদায়ী জেলা কৃত্রিম প্রজনন উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ তোফাজ্জল হোসেনকে ফুলের তোড়া
দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
আরএমটিপি প্রকল্প ম্যানেজার মোঃ মাসুদ মণ্ডল কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মিট প্রসেসিং প্লান্ট উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তিনি যত্রতত্র পশু জবাইয়ের কারণে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা ও প্রয়োগের গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ এ,কে,এম, আনোয়ারুল হক বলেন, “যত্রতত্র জবাইয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। পূর্বে গর্ভবতী বা অসুস্থ গবাদিপশু জবাই হতো, এখন নির্ধারিত বিশেষজ্ঞের পরীক্ষার পর অনুমতি দেওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো উদ্যোক্তা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রম নিতে চান, তাহলে আমাদের দপ্তর সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।” তিনি খামারিদের সমস্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “রেডি ফিডের দাম বৃদ্ধির কারণে খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। স্থানীয় খাদ্য যেমন সাইলেজ ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে উৎপাদন ব্যয় কমানো যায়।”
কর্মশালায় বেঙ্গল মিট, রেনেটা অলটেক, আমান ফিড, নারিশ ফিড, প্রাণিসেবা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, গ্যাপ ট্রেইনার, এলএসপি, লিড খামারি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তা, মাংস বিক্রেতা, গোয়ালা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে এলএসপি সদস্যদের ভূমিকা প্রশংসা করে বলেন, “গবাদিপশু উন্নয়নে এলএসপি সদস্যরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।” তিনি এনডিপি ও আরএমটিপি প্রকল্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “তাদের সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ খাত আরও এগিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের পুষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2025 joysagor
Design & Development BY Hostitbd.Com