বিপ্লব কুমার দাস; ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর – ৪ আসনের সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কাঁদলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। তার আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ এনেছেন শহিদুল ইসলাম বাবুল নামের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ৬৮টি কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ, তাদের হুমকি দিচ্ছে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত। আমি এখন টিকে থাকতে পারছি না।’
সোমবার (২৭ মে) ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। ২৯ মে সদরপুর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন চেয়ারম্যানরা, এমপির লোকেরা হুমকি দিচ্ছে প্রকাশ্যে সিল মেরে দেবে। কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেবে না। এমপি নিজেই বলছেন, আমাকে ৬৮টি কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে দেবেন না। তার এ বক্তব্যের ফলে তার নেতাকর্মীরা এত উৎসাহিত হয়েছে যে, আমার জীবন এখন হুমকির মুখে।
তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ২১ মে নিক্সন চৌধুরী আমার বাড়িতে আসেন। এসময় শত শত লোকের সামনে তিনি আমাকে তার গাড়িতে তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়াতে বাধ্য করেন। পরে জনগণের দাবির মুখে আবার নির্বাচনের মাঠে ফিরে আসি।
শহিদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেন, ২৫ মে নিক্সন চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার বাসভবনে নির্বাচনী সভা করেন। সেখানে শুধু তিনি না, তার অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যানরাও ঘোষণা দেন যে, ৬৮টি ভোটকেন্দ্রের একটিতেও আমাকে এজেন্ট দিতে দেবেন না। ওই সভায় তিনি (নিক্সন চৌধুরী) প্রতিপক্ষ প্রার্থী কাজী শফিকুর রহমান নয় বরং তিনি নিজেই প্রার্থী বলে উল্লেখ করেন।
নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে বাবুল বলেন, ওই সভায় নিক্সন চৌধুরী আমাকে ‘জারজ সন্তান’ বলে গালিগালাজ করেন। একইসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাকে সদরপুরে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কেঁদে দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সদরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, যারা জানে যে ভোটে হেরে যাবে তারাতো সংবাদ সম্মেলন করে এসব উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। তিনি আরও বলেন, ২৫ মে তো আমি ঢাকায় ছিলাম, তাহলে মিটিং করলাম কীভাবে?