২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয়েছিল লিওনেল মেসির। এরপর কী ঘটেছিল জানা সবার। কাতালান ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল ও ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন তিনি। জিতেছেন সবচেয়ে বেশি ট্রফি, ক্লাবটির ১২১ বছরের ইতিহাসে একক খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও জিতেছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের জন্য সবসময় হয়ে থেকেছেন আতঙ্ক। এখন ভাবুন তো, মেসি যদি রিয়ালের সাদা জার্সিটি গায়ে তুলেন; কেমন লাগবে? ভাবনাটা কিন্তু অমূলকও নয়। এমনকি তার নাকি লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সি গায়ে তোলার সুযোগ এসেওছিল, অন্তত মেসির জীবনী লেখক জুলিয়াম বালোগুইয়ির দাবি তেমনই।
ওই সুযোগ অবশ্য এসেছিল বার্সার হয়ে মেসির অভিষেক হওয়ারও আগে। ফ্রান্সের পত্রিকা লা প্যারিসিয়ানে কলামে ওই ঘটনা তুলে ধরেছেন জুলিয়াম। তিনি লিখেছেন, ‘ওই দিন মেসি রিয়াল মাদ্রিদে প্রায় যোগ দিয়ে ফেলেছিল।’ এখন অবশ্য এমন কিছুকে অসম্ভবই মনে হয়।
তবে ওই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে জুলিয়াম লিখেছেন, তখন হাভিয়ের পেরেজ ফারেগুয়েল বার্সেলোনার নতুন জেনালের ডিরেক্টর হিসেবে এসেছিলেন। এসে তার প্রথম কাজ ছিল ক্লাবের স্বাক্ষর করা চুক্তিগুলোকে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করা। মেসির চুক্তিটি দেখে বিস্মিত হন হাভিয়ের।
জুলিয়াম লিখেছেন, ‘কয়েক মাস আগে স্বাক্ষর হওয়া মেসির চুক্তিটি উনি দেখেন। যেখানে মেসিকে প্রতি মৌসুমে একশ মিলিয়ন স্প্যানিশ পেসেতা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। ১৪ বছরের একজন ফুটবলারের জন্য যেটা ছিল অনেক বেশি। এরপর তিনি আরও অল্প টাকায় একটা চুক্তি অফার করেন।’
একরকম রাগান্বিত হয়ে হাভিয়ের জানতে চান ‘সে নিজেকে কি মনে করে? ম্যারাডোনা?’। এই ঘটনা জানতে পারেন আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার জর্জে ভালদানো। তিনি তখন রিয়াল মাদ্রিদের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে। মেসির পরিবারকে তিনি প্রস্তাব দেন, ‘আমরা আরও বেশি টাকা দেবো, কিন্তু বার্সার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাই না।’
এরপর অবশ্য জুলিয়াম এটাও জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিক ছিল না। তবে মেসির পরিবার ও আইনজীবিদের মধ্যে এ নিয়ে আলাপ হয়। তখন নাকি একজন রিয়ালের কাছে যাওয়ার কথাও বলেন। কিন্তু সেটাকে অন্য একজন ‘কলঙ্ক হবে’ বললে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে কখনো বাস্তবেও রূপ নেয়নি মেসির রিয়ালে যোগ দেওয়া।